আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ফের কারাগারে
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েস এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, কারাগারে থাকা অপর আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া আজ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার ভিকটিমকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন। জেরা শেষে বিচারক আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী জেরার দিন নির্ধারণ করেন।’
এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর সাফাতকে জামিন দেন বিচারক খাদেম উল কায়েস। সে মামলায় জামিনের পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
গত বছরের ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা।
এজাহারে বলা হয়, বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।