স্কয়ার ড্রাইভ
বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুল দিল দক্ষিণ আফ্রিকা
ক্যাচ মিস, রান আউটের সুযোগ নষ্ট সব মিলিয়ে বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতের মুঠোয় থাকা জয় বেরিয়ে গেছে। তারা যে চাপ সামলে খেলতে পারে না, তা আরেকবার প্রমাণিত। তাই ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘাড়ে নিয়েই আবারও বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল প্রোটিয়ারা।
সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এত বাজে ফিল্ডিং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের কাছ থেকে আশাই করা যায় না। এমনিতে ফিল্ডিংয়ে তারা বেশ দক্ষ। প্রোটিয়াদের এমন বাজে ফিল্ডিং সত্যিই অপ্রত্যাশিত।
প্রতিপক্ষের ফিল্ডিং-ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়েই নিউজিল্যান্ড দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট-ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য নিঃসন্দেহে।
৪৩ ওভারে ২৯৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছা সোজা কথা নয়। গ্র্যান্ট এলিয়ট এক প্রান্ত ধরে রেখে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করেছে। তার ইনিংসটি সত্যিই প্রশংসনীয়। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কথাও বলতে হবে। কিউই অধিনায়কের ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে।
তবে যে-ই জিতুক, ক্রিকেট-বিশ্ব একটা রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখতে পেরেছে। এমন উত্তেজনাপূর্ণ সেমিফাইনালের আশাই করেছিলাম আমরা।
অবশ্য বৃষ্টি বেশ প্রভাব ফেলেছে এই ম্যাচে। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ব্যাট করছিল তাতে আমার মনে হচ্ছিল ৩৭০/৩৮০ রান হয়ে যাবে হয়তো। এত বড় স্কোর করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে জয় পাওয়া ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ত।
আসলে বিশ্বকাপ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শুধুই দুর্ভাগ্যের এক টুর্নামেন্ট!
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।