স্বাধীনতা পদক নিলেন সাতজন, ‘না’ করায় একজন বাদ
মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত গুণীজনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
যদিও গত ৪ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিক অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদও।
তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের পরিচিতিমূলক গ্রন্থেও তাঁর নাম নেই।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য। তিনি নাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি।৪ মার্চ পুরস্কার ঘোষণার পরদিন তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আমি সম্মানের সঙ্গে ঘোষিত “স্বাধীনতা পদক-২০১৫” গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করছি।’
পুরস্কার পাওয়া অন্য সাত বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন—কমান্ড্যান্ট প্রয়াত মানিক চৌধুরী (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), সাবেক ডিআইজি প্রয়াত মামুন মাহমুদ (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এম এস কিবরিয়া (প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক), শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (সাহিত্য), চলচ্চিত্র অভিনেতা নায়করাজ আবদুর রাজ্জাক, কৃষিবিদ মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল (কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) ও সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত (সাংবাদিকতা)।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, দুই লাখ টাকা ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।