প্রত্যাশার চাপ নিয়ে চিন্তিত নন ক্লার্ক
স্বাগতিক হওয়ার যেমন সুবিধা আছে, তেমনি চাপও আছে। ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপের শিরোপা যেন দেশের বাইরে চলে না যায়, স্বাগতিক দলের সমর্থকদের সে প্রত্যাশা থাকাই স্বাভাবিক। এবং এই প্রত্যাশার চাপ অস্বীকারও করা যায় না। এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া যে চাপের মুখোমুখি। মাইকেল ক্লার্ক অবশ্য চাপ-টাপ নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের দৃঢ় বিশ্বাস, বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সব চাপ সামলে তাঁর দল ভালো খেলবেই।
চারবার শিরোপা জিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। তবে ২৩ বছর আগে স্বদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ অস্ট্রেলীয়দের হতাশ করেছিল। ১৯৯২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ এখন ক্লার্কের দলের সামনে।
বুধবার সিডনিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লার্কের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘প্রত্যাশার চাপ অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের ওপর কি কোনো প্রভাব ফেলছে?’ জবাবে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের দলের প্রত্যেকে পুরো টুর্নামেন্টে চাপ ভালোমতোই সামলেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যেভাবে খেলেছে, তা খুবই তৃপ্তিদায়ক। প্রত্যাশা তো অবশ্যই আছে। কারণ, আমরা ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। একটা দল ভালো খেললে তাদের নিয়ে প্রত্যাশা বাড়বেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যেকোনো খেলোয়াড় প্রতিদিনই তা বুঝতে পারে। চাপ আর প্রত্যাশা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এমন কথা অবশ্য হবেই। আমি তো মনে করি, ছেলেরা ঠিকই আছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলটা তরুণ আর অভিজ্ঞদের মিশেলে গড়া। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব স্বীকার করে নিলেও তরুণদের ওপরে যথেষ্ট আস্থা ক্লার্কের, ‘আমাদের দলের কয়েকজন বয়স্ক খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা আছে। তেমনি কয়েকজন অসম্ভব মেধাবী তরুণ খেলোয়াড়ও আছে। তারা কোনো কিছুকেই ভয় পায় না।’
সবশেষে সেমিফাইনালের জন্য একটা ‘সহজ’ সমীকরণ দিয়ে ক্লার্কের মন্তব্য, ‘ভারতের চেয়ে আমাদের শুধু এক রান বেশি করতে হবে!’