লাকী ইনামের নাটকের বই ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’
ড. নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প অবলম্বনে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ শিরোনামে একটি নাটকের বই লিখেছেন নন্দিত অভিনয়শিল্পী লাকী ইনাম। বইটি নিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কথা বলেন তিনি।
প্রশ্ন : ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
লাকী ইনাম : ড. নীলিমা ইব্রাহিমের গল্প অবলম্বনে এই নাটকের বইটি আমি লিখেছি। ড. নীলিমা ইব্রাহিম তাঁর বইতে পাঁচজন বীরাঙ্গনার কথা বলেছেন। এর মধ্যে প্রথম বীরাঙ্গনা শেফার কাহিনী নিয়ে আমি নাটকটি লিখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার বীরাঙ্গনাদের নিয়ে গবেষণা করে একটি দারুণ প্রবন্ধ লিখেছেন। সেটাও আমি বইতে রেখেছি।
প্রশ্ন : বীরাঙ্গনার চরিত্রে আপনি তো মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
লাকী ইনাম : এখন পর্যন্ত মঞ্চে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটকের ৫০ বার প্রদর্শন হয়েছে। আমি অভিনয় করার পর অনেক সাড়া পেয়েছি। তাই ভাবলাম, নাটকটি নিয়ে বই করি। যাঁরা মঞ্চে বীরাঙ্গনার চরিত্রে একক নাটকে অভিনয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই বইটি সহায়ক হবে। শেফা বীরাঙ্গনাকে নিয়ে আমি এই নাটকটি লিখেছি। এ ছাড়া আরো চারজন বীরাঙ্গনাকে নিয়ে আমার নাটকের বই করার পরিকল্পনা আছে।
প্রশ্ন : শিল্পকলা ও অভিনয় বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পেয়েছেন আপনি। অনুভূতি কেমন?
লাকী ইনাম : প্রায় ৫০ বছর আমি কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মতো আমাদের খুঁজে বের করেছেন। আমি আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়ে অনেক খুশি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। আর এই যে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলাম, এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বঙ্গবন্ধুকে। তিনি যদি দেশটা উপহার না দিতেন, তাহলে শিল্প-সাহিত্যের চর্চা আমরা স্বাধীনভাবে করতে পারতাম না। জাতির জনকের কাছে আমি আমার ঋণ প্রকাশ করছি। এই পুরস্কার আমার জন্য সম্মানের।
প্রশ্ন : বইমেলায় এসে কেমন লাগছে?
লাকী ইনাম : খুব ভালো লাগছে। এত ফাঁকা জায়গা। কারো সঙ্গে কারো ধাক্কা লাগছে না। স্টলগুলো সুসজ্জিত। বই কিনছে লোকজন। এটা আনন্দের ব্যাপার।