স্টার্ক-বোল্টের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুই সহ-আয়োজক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের লড়াই দারুণ জমেছিল। মিচেল স্টার্ক ও ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিং সেদিন অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ছড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজনার বারুদ। বোল্টের পাঁচ উইকেটের জবাবে স্টার্ক শিকার করেছিলেন ছয় উইকেট। তবু ম্যাচটা এক উইকেটে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার ঘরের মাঠে বোল্টকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ স্টার্কের সামনে। রোববার মেলবোর্নের ফাইনাল দুই বাঁ-হাতি পেসারের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের উত্তাপও ছড়িয়ে দিচ্ছে ক্রিকেট-বিশ্বে।
আরেকটি লড়াইও আছে। ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বোল্ট এখন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারী। এক ম্যাচ কম খেলা অস্ট্রেলিয়ার স্টার্কের উইকেট ২০টি। ফাইনালে তাই বিশ্বকাপের সেরা বোলার হওয়ার লড়াইও হবে দুজনের মধ্যে।
অকল্যান্ডে গ্রুপ পর্বের সেই ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন বোল্ট। স্টার্কও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ছেড়ে কথা বলেননি। ৯ ওভার বল করে ২৮ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। তবে ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কিউইরা শেষ পর্যন্ত পেয়েছিল এক উইকেটের নাটকীয় জয়। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন বোল্ট। ম্যাচটাকে ‘ক্রিকেটের একটা দারুণ বিজ্ঞাপন’ হিসেবে বর্ণনা করে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মন্তব্য, ‘মিচেল আর বোল্ট সেই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। দুজনেই বল দারুণ সুইং করাতে পেরেছে, ব্যাটসম্যানদের বার বার পরীক্ষায় ফেলেছে।’
উইকেট-সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও ফাইনালে বোল্টের চেয়ে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন স্টার্ক। বোল্ট প্রথমবারের মতো খেলতে নামছেন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। অন্যদিকে এমসিজি নামে পরিচিত মাঠটিতে এর আগে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে ১২ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।
দুজনের সামনে এখন ইতিহাস গড়ারও হাতছানি। ২০০৭ বিশ্বকাপে ২৬টি উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ওয়ানডের সেরা প্রতিযোগিতার এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের ‘রেকর্ড’ স্পর্শ বা ভেঙে ফেলার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে স্টার্ক-বোল্ট। এক আসরে ২৩টি করে উইকেট আছে শ্রীলঙ্কার চামিন্ডা ভাস ও মুত্তিয়া মুরলিধরন এবং অস্ট্রেলিয়ার শন টেইটের।