স্কয়ার ড্রাইভ
যোগ্য দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন
মাইকেল ক্লার্ক বিদায়ী ওয়ানডে স্মরণীয় করে রাখলেন অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়ে। ফাইনালে দারুণ ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। জেমস ফকনারের হাতে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠলেও আমার মতে ক্লার্কই ফাইনালের সেরা। ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স, দারুণ অধিনায়কত্ব—আমি তো এটাকে বলব অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ক্লার্কের নৈপুণ্যই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে অনায়াসে জয় এনে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া যে শিরোপা জিতবে, তা আগেই মনে হয়েছিল আমার। তবে ম্যাচটা এত একতরফা হবে তা ভাবতেই পারিনি। ফাইনাল মোটেও ফাইনালের মতো জমজমাট হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়া যোগ্য দল হিসেবে শিরোপা জিতেছে। আবার প্রমাণ হলো অস্ট্রেলিয়াই ক্রিকেটে সেরা। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকে তারা ‘ফেভারিট’ ছিল। খেলেছেও চ্যাম্পিয়নের মতো।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ডের সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। মেলবোর্নের ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নামার সময় আমি মনে করেছিলাম কিউইরা ভালো একটা লক্ষ্য দেবে প্রতিপক্ষকে। কিন্তু তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি।
ফাইনালের মতো ম্যাচে কিউই ব্যাটসম্যানদের এমন দুর্বল পারফরম্যান্সের আশাই করিনি। প্রথমবার ফাইনালে খেলছে বলে তারা হয়তো চাপের মধ্যে ছিল। চাপ সামলে উঠতে পারেনি বলে বাজেভাবে হারতে হয়েছে।
প্রথম ওভারেই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বিদায় নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। মাঝে গ্র্যান্ট এলিয়ট ও রস টেলর একটা ভালো পার্টনারশিপ গড়লেও পরের ব্যাটসম্যানরা অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত পেসারদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।
আসলে একটা দলের বড় ইনিংস গড়ার জন্য চাই ভালো কয়েকটা পার্টনারশিপ। সেই জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে কিউই ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাও দারুণ বল করেছে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।