ভালোবাসায় সিক্ত অস্ট্রেলিয়া
পঞ্চম বিশ্বকাপ জিতে অস্ট্রেলিয়া এখন উৎসবের দেশ। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর রোববার গভীর রাত পর্যন্ত হৈ-হুল্লোড় করে কাটিয়েছেন ক্লার্ক-স্মিথ-স্টার্করা। পরদিন শিরোপার আনন্দ দেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন এক গণসংবর্ধনায়। সবার ভালোবাসার আবেগে ভেসে গেছে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আগের রাতে তেমন ভালো ঘুম হয়নি। তবু ঘুম-চোখেই সোমবার সকালে মেলবোর্নের ফেডারেশন স্কয়ারে সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। সদ্য ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলা অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের কণ্ঠে তখন যেন ধ্বনিত হচ্ছিল রাত জাগার ক্লান্তি, ‘রাতে না ঘুমানোর রেশ আছে এখনো। আমার মনে হয়, আমাদের সবারই তা আছে। এ সাফল্য নিয়ে আমরা ভীষণ গর্বিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায় আমাদের ওপরে অনেক প্রত্যাশা ছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর দিকে এটা আমাদের ভীষণ চাপের মধ্যে ফেলেছিল। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম বল থেকেই এগুলো সঙ্গে নিয়ে আমরা খেলেছি। তাই আমাদের অর্জন নিয়ে ছেলেদের সত্যিই গর্বিত হওয়া উচিত।’
ফাইনালের আগের দিন ক্লার্ক জানিয়ে দেন, রোববারের পর আর ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখা যাবে না তাঁকে। জীবনের শেষ ওয়ানডে স্মরণীয় করে রেখেছেন ৭৪ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রেকর্ড ৯৩ হাজার দর্শকের সামনে বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বাস সঙ্গে নিয়ে বিদায় নেওয়া ক্লার্কের অভাব অস্ট্রেলিয়া অনুভব করবে বলেই মনে করেন মিচেল জনসন, ‘ক্লার্ক একজন দুর্দান্ত অধিনায়ক। মাঠে অধিনায়ক হিসেবে তিনি সব সময়ই আক্রমণাত্মক। আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই ফিল্ডিং সাজান তিনি। তাঁর মতো সতীর্থকে আমরা অবশ্যই মিস করব।’
মাঝের দুঃসময় কাটিয়ে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট আবার সোনালি সাফল্যে রঙিন। বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিল তারা। আগামীতে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিরও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দিকে চোখ ডেভিড ওয়ার্নারের, ‘আমাদের লক্ষ্য সব ধরনের ক্রিকেটে এক নম্বর দল হওয়া।’
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। সামনে আছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা। আর টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলীয়রা আছে চার নম্বরে।