কোটিপতি মনজুর বনাম লাখপতি নাছির
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ মনজুর আলম কোটিপতি আর আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দিনের সম্পদের পরিমাণ লাখের ঘরে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে দুজনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে সাবেক মেয়র মনজুরের মোট বার্ষিক আয়ের পরিমাণ এক কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৬ টাকা এবং নগদ জমা টাকার পরিমাণ এক কোটি ৬৯ লাখ তিন হাজার ৬৪৫ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নাছিরের মোট বার্ষিক আয়ের পরিমাণ তিন কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৭৪৪ টাকা হলেও নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৯০ টাকা উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ১৩ জন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মনুজর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দিনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ব্যাংক ঋণের পরিমাণের দিক থেকেও এগিয়ে আছেন মনজুর। তাঁর ঋণের পরিমাণ ৩৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য দেনা দেখিয়েছেন চার কোটি ৭০ লাখ ছয় হাজার ১৯৮ টাকা। আর নাছিরের মোট ঋণ আট কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৪ টাকা।
শিল্পপতি মনজুর আলম কমপক্ষে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—গোল্ডেন আয়রন ওয়াক্স লিমিটেড, আলহাজ মোস্তফা হাকিম হাউজিং অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, আলহাজ মোস্তফা হাকিম সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গোল্ডেন অক্সিজেন লিমিটেড, ঈগল স্টার টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মিউচুয়াল জুট স্পিনার্স লিমিটেড, আলহাজ মোস্তফা হাকিম বিক্স লিমিটেড, গোল্ডেন বিক্স ওয়াক্স লিমিটেড, তাহের অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, গোল্ডেন স্টিল এলয় ওয়ার্ক্স লিমিটেড, এইচ এম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড। এ ছাড়া তিনি আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের হলফনামা অনুযায়ী বার্থ অপারেটর, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, ভবন নির্মাণ, মৎস্য আহরণ, ঘাট ইজারা এবং তেল পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি।
এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস।
বিএনপি নেতা মনজুর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হলফনামায়।