নির্বাচনে কেন সেনাবাহিনী আনতে হবে : সুরঞ্জিত
আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ সময় নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নয়, বরং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াই প্রধান বাধা বলে অভিযোগ করেন প্রবীণ এ সংসদ সদস্য।
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আজ শুক্রবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। চলমান রাজনীতি বিষয়ে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘নির্বাচনে কেন সেনাবাহিনী নিয়ে আসতে হবে? সেনাবাহিনীকে কি নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ? আমাদের সেনাবাহিনী অনেক উচ্চপ্রশিক্ষিত। তাদের যত্রতত্র ব্যবহার করা যাবে না। তাদেরকে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কাজে লাগানো হয়।’
‘নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’
সিটি করপোরেশন সবার জন্য সমান সুযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাবেক রেলমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আবার একই সাথে তিনি হরতাল-অবরোধ ডেকে রেখেছেন। হরতাল-অবরোধই যদি রাখেন তবে আপনি নির্বাচন করবেন কীভাবে?
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের মধ্য আপনার ভোটাররাই বা কীভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে? তাই জাতীয় স্বার্থে সর্বপ্রথম এই অযোক্তিক হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ তাঁকেই (খালেদা জিয়াকে) নিতে হবে।’
‘নিরাপত্তা পেলে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন’
তাঁর আইনজীবীর এমন বক্তব্যের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে কে ? তিনি তো নিরাপদেই আছেন। তাঁর নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিতে হবে এমন কোথাও লেখা আছে নাকি?’
অনুষ্ঠানে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর’ নেতা ডা. খন্দকার মো. এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।