বাংলাদেশ সফরের প্রতীক্ষায় নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ কথা জানান ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব (বহুপক্ষীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক) সুজাতা মেহতা।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, সাক্ষাৎকালে সুজাতা মেহতা শেখ হাসিনার কাছে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
চলমান বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে রোববার তিন দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন সুজাতা মেহতা।
এ সময় তিনি জানান, দুদেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে।
সুজাতা মেহতা বলেন, ‘প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে।’
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানান, ভারতের আরো তিন থেকে চারটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে বিনিয়োগ অথবা সরাসরি বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি ‘সোলার জোট’ গঠন করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ একসঙ্গে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে অনেক কিছু করতে পারে।’
শেখ হাসিনা দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের অভিন্ন শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন। দারিদ্র্য দূর করতে এবং ধনী ও গরিবের মধ্যে ব্যবধান কমাতে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পানিবণ্টন নিয়েও কথা বলেন। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে যুক্ত করে আঞ্চলিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সুজাতা মেহতার সঙ্গে ছিলেন ভারতের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অংশীদার প্রশাসন) অলক কুমার সিনহা এবং যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন।