ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর সদরের কৈডুবী নামক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে বাসটির চালক, সুপারভাইজার, সহকারী, শিশু ও নারী রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত সোনারতরী পরিবহনের বাসটি ঢাকার গাবতলী থেকে পটুয়াখালী যাচ্ছিল।
স্থানীয় লোকজন, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘণ্টা ধরে হতাহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। উদ্ধার অভিযান চলার সময় রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেইন সরকার জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সোনারতরী পরিবহনের বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় বাসটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় এবং দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। এর পর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। উদ্ধারকারীরা বাসটির ভেতর থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত ২৬ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মারা যান আরো ছয়জন। নিহত ১৯ জনের লাশ ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হতে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ঠিকানা বের করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হতাহতদের বেশির ভাগের বাড়ি পটুয়াখালী ও বরিশাল এলাকায় বলে জানা গেছে।
আহত যাত্রীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, সাকুরা পরিবহনের একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে।