গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিল
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর বিলম্ব হওয়ার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মশাল মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।
মশাল মিছিলের আগে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘রায় ঘোষণার এতদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নানাভাবে সেটিকে বিলম্ব করা হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ হতাশ। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো কেটে গেছে। আশা করি, সরকার আর বিলম্ব না করে আজকের মধ্যে রায় কার্যকর করবে।’
২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুটিতে মৃত্যুদণ্ড, দুটিতে যাবজ্জীবন ও একটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় কামারুজ্জামানের পক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য (রিভিউ) আবেদন করা হয়। কিন্তু তা খারিজ করে দেন আদালত।