চট্টগ্রামে বিএনপিকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ
চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সভা করার সময় বিএনপিকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের নেতারা এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন।
তবে ছাত্রলীগ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর পুলিশ বলেছে, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াহিদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করে বলেন, আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তাঁর বায়েজিদ থানাধীন ব্রিকফিল্ড রোডের কার্যালয়ে বসে মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের প্রচারের অগ্রগতি নিয়ে সভা করছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে সেই কার্যালয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এর আগে কার্যালয়ের সামনে ৪০-৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মনজুর আলমকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেন। এর প্রতিবাদ করায় বিএনপির নারীকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ১০ জন আহত হয় বলে দাবি করেন ওয়াহিদুল আলম।
তবে ছাত্রলীগের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি ঘটনা আমি শুনেছি। এটা ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত না।’
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল চন্দ্র বণিক এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘ওই এলাকায় দুই কমিশনারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
তবে বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মির্জা জহির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন এবং বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পৃথক বিবৃতিতে এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারেই প্রার্থী হয়েছেন মনজুর আলম।