বিয়ের পর মুশফিকের ‘স্পেশাল’ সেঞ্চুরি
বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর মতো দুটো সেঞ্চুরি হয়তো ছিল না। কিন্তু ক্রিকেটের সেরা আসরে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের রানের ধারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে প্রবাহিত। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরিটা তাঁর কাছে একটু ‘স্পেশাল’ই মনে হচ্ছে। বিয়ের পর এটাই যে মুশফিকের প্রথম তিন অঙ্কের রান!
প্রথম ওয়ানডেতে তামিম ইকবালও শতক করেছেন। তামিমের রান মুশফিকের চেয়ে ২৬ বেশি। তবু ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মুশফিক। ৭৭ বলে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৬ রান—পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কতটা আক্রমণাত্মক ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের কাছে এই শতকের মাহাত্ম্যই আলাদা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তার কারণ জানালেন নিজেই, ‘এই সেঞ্চুরিটা আমার কাছে স্পেশাল। বিয়ের পর এই প্রথম সেঞ্চুরি পেলাম। দেশের মাটিতে তা পাওয়ায় আরো বেশি ভালো লাগছে। আমার এখন লক্ষ্য ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাট করে যাওয়া।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১১৭ রানের পর আরেকটি শতকের দেখা পেতে মুশফিককে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় সোয়া এক বছর। মাঝের সময়ে সেঞ্চুরি না পেলেও ফিফটি করেছেন আটটি। এর মধ্যে বিশ্বকাপেই তিনটি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ রান করে আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছিল।
তবে প্রথম ওয়ানডেতে আফসোসে পুড়তে হয়নি। তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির জন্য তামিমের কাছে ‘ঋণী’ মুশফিক, ‘তামিমের ব্যাটিং আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে। ওর জন্যই আমার পক্ষে এত ভালো খেলা সম্ভব হয়েছে। সে সময় তামিমের সাপোর্ট না পেলে হয়তো এতটা ভালো খেলতেই পারতাম না।’
মুশফিক নিজে অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে বিস্মিত, ‘তামিম আজ অসাধারণ খেলেছে। ম্যাচসেরার পুরস্কার তারই প্রাপ্য ছিল। পুরস্কারটা আমাকে দেওয়ায় ভীষণ অবাক হয়েছি।’