স্কয়ার ড্রাইভ
এমন দুর্দান্ত বাংলাদেশই তো চেয়েছি
বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ দারুণ ক্রিকেট খেলছে। এই সাফল্য কিন্তু একদিনে আসেনি। এটা দীর্ঘ পরিকল্পনার সুফল। বিশ্বকাপে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষেও ভালো খেলছে বাংলাদেশ।
প্রায় এক বছর ধরে এই দল এক সঙ্গে আছে। দলে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বিশ্বকাপ ও চলমান সিরিজে ভালো করার এটাও অন্যতম কারণ।
গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ছন্দে ফিরেছিল বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে হেরে গেলেও ওই ম্যাচগুলো পরে অনেক কাজে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যে 'ফ্লুক' ছিল না, তা প্রমাণিত হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই সিরিজে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স সত্যি প্রশংসনীয়।
প্রশংসা করতে হবে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেরও। দলকে দারুণ দূরদর্শিতার সঙ্গে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনাগুলো অনেক কাজে এসেছে দলের। ব্যাটিং অর্ডারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং বোলিং আক্রমণ সাজানোয় তিনি দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পারফরম্যান্স আদায় করার ক্ষেত্রেও দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন হাথুরুসিংহে। খেলোয়াড়রাও বুঝতে পারছে তাদের কাজটা কী। এসব মিলিয়েই সাফল্য আসছে।
প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের উন্নতি দেখছি। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছি আমরা। আশা করছি শেষ ওয়ানডেতে আরো বড় জয় পাব।
এমন দুর্দান্ত বাংলাদেশকেই সব সময় দেখতে চেয়েছি। আশা করছি দল এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে।
তবে এবারের পাকিস্তান দলকে একেবারেই দুর্বল ভাবা যাবে না। হয়তো অভিজ্ঞতায় ঘাটতি রয়েছে কয়েকজন খেলোয়াড়ের। তবে তাঁদের দলের প্রত্যেকেই যে যথেষ্ট যোগ্য, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ তো বিশ্বের অন্যতম সেরা। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে তারা ভালো করতে পারেনি। আসলে একটা দলে বড় ধরনের পরিবর্তন আসলে এমনটা হতেই পারে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।