আশা-নিরাশার দোলাচলে মাশরাফি
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এখনো জয় অধরা। সাতটি ম্যাচে খেলে সবগুলোতে হার মেনেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার আনন্দে মেতে উঠলেও একমাত্র টি-টোয়েন্টির আগের দিন জয়ের ব্যাপারে তেমন আশাবাদের কথা শোনাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টি-টোয়েন্টি দলে তেমন ‘স্পেশাল’ খেলোয়াড় না থাকায় তাঁর কণ্ঠে হতাশার সুর।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘শক্তি-সামর্থ্যে দু দলকেই একই জায়গায় রাখতে চাই। তবে পাকিস্তান দলটি অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছে। তাদের দলে কয়েকজন টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমাদের তেমন কেউ নেই। তা ছাড়া টেস্ট বা ওয়ানডের তুলনায় আমরা তেমন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই না। এ দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। পাকিস্তান দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তাদের দলে শতাধিক টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটারও আছেন। টি-টোয়েন্টির জন্য আমাদের প্রস্তুতিও তেমন ভালো হয় না। তবে মাঠে ভালো খেলতে পারলে অভিজ্ঞতাকে হার মানানো সম্ভব।’
urgentPhoto
ওয়ানডে সিরিজে অবিস্মরণীয় সাফল্যে বাংলাদেশ দল অবশ্য অনুপ্রাণিত। ওয়ানডের আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত হয়ে শুক্রবারও স্বাগতিক দল ভালো খেলবে বলে আশাবাদী মাশরাফি, ‘ওয়ানডেতে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেই ধারাবাহিকতা এই ম্যাচে ধরে রাখতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব। আমাদের বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান আছে। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট না হলেও তাদের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে।’
একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যের জন্য ভালো সূচনার দিকে তাকিয়ে মাশরাফি, ‘টেস্ট বা ওয়ানডেতে সময় নিয়ে খেলা সম্ভব। তবে টি-টোয়েন্টিতে সেই সুযোগ নেই। সে জন্য শুরুটা ভালো করতে হবে আমাদের। শুরুটা ভালো হলে সবকিছুই ভালো হবে।’
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার কথা ভাবছেন মাশরাফি, ‘২০১৬ সালের মার্চে ভারতে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। এখনো প্রায় এক বছর হাতে আছে আমাদের। এখন থেকেই আমাদের পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই ম্যাচ থেকেই তার সূচনা হতে পারে।’