কমিশনে সাকির ভোট বর্জনের চিঠি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকির পক্ষে নির্বাচন বর্জন সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে সাকির নির্বাচনী এজেন্ট মোহাম্মদ মোস্তফাসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই চিঠি কমিশনে পৌঁছে দেন।
প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি জমা দিতে চাইলেও কমিশন সচিবালয় থেকে বলা হয়, এটি ডেসপ্যাচ শাখায় জমা দিতে হবে। ডেসপ্যাচ শাখায় গেলে সেখান থেকে বলা হয়, এটি ফটকে জমা দিতে হবে, পরে সেখান থেকেই ডেসপ্যাচ শাখায় আসবে।
এ বিষয়ে জোনায়েদ সাকির প্রস্তাবক অ্যাডভোকেট জোতির্ময় বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের চিঠিটি সিইসির কাছে দিতে চেয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হয় ডেসপ্যাচ শাখায় জমা দেওয়ার জন্য। আমরা সিইসির কাছেও চিঠিটি দেওয়ার সুযোগ পেলাম না। ডেসপ্যাচ থেকে এই চিঠি কবে, কখন সিইসির হাতে পৌঁছাবে বা আদৌ পৌঁছাবে কি না এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান।’
চিঠিতে কী কী বিষয় উল্লেখ করা আছে, তা জানতে চাইলে মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪০টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, ভোর কারচুপি করা হয়েছে, জালভোট দেওয়া হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেননি। এই নির্বাচনে জনগণের রায়ের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে না। তাই আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।’
এসব কথা জানিয়েই নির্বাচন কমিশনে তারা চিঠি দিয়েছেন বলে জানান মোহাম্মদ মোস্তফা। এ ছাড়া এর আগেও বহুবার মৌখিকভাবে কমিশনের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাইলেও কমিশন তা দিতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে রোজ ভিউ প্লাজায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জোনায়েদ সাকি। ঢাকা উত্তরের এই মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘যেভাবে ভোটকেন্দ্র দখল, গণসিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে দেওয়া হয়েছে, তাতে এটাকে নির্বাচন বলে না। এ প্রক্রিয়ার ওপরে আমাদের আস্থা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই ফলাফলের ওপরেও আমাদের কোনো আস্থা নেই। সুতরাং যে নির্বাচনের ওপরে আমাদের আস্থা থাকবে না, আস্থা না থাকলে সেই নির্বাচন তো প্রত্যাখ্যানই করতে হয়।’