স্কয়ার ড্রাইভ
এ যেন নতুন বাংলাদেশ
ওয়ানডেতে ভালো খেললেও টেস্ট ক্রিকেটে ঠিক তার উল্টো। বাংলাদেশের এতদিন এ রকম বদনাম ছিল। খুলনা টেস্টে অসাধারণ পারফরম্যান্সে মনে হচ্ছে সব ধরনের ক্রিকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৩১২ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটিতেই প্রমাণিত, বাংলাদেশের ব্যাটিং আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ব এখন। তামিম ইকবালের ডাবল সেঞ্চুরি আর ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বড় উদাহরণ।
খুলনা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও আমি তেমন আশাবাদী ছিলাম না। ভেবেছিলাম বাংলাদেশ হয়তো ইনিংস ব্যবধানে হারবে। প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের ঘাটতি ভালোভাবেই পুষিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দলকে দারুণ ভিত এনে দিয়েছে। সত্যিই প্রশংসা করার মতো ব্যাটিং। তামিম-ইমরুলের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে ড্রয়ের পথে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আমাদের লক্ষ্যও ছিল ড্র করা। আমি তো বলব এই ড্র জয়ের চেয়েও বড়।
এত দিন টেস্টে দু-একজন ব্যাটসম্যান ভালো করত। এখন একসাথে কয়েকজন ব্যাটসম্যান ভালো খেলছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের একটা ভালো দিক। খুলনায় ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে পাওয়া আত্মবিশ্বাস আশা করছি ঢাকায় শেষ ম্যাচে দলকে প্রেরণা জোগাবে।
তবে প্রথম টেস্টে বোলাররা তেমন ভালো করতে পারেনি। বিশেষ করে স্পিনাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেনি। বোলিং আক্রমণ নিয়ে আরো কাজ করতে হবে আমাদের। শেষ টেস্টে বোলাররা প্রত্যাশা মিটিয়ে বল করতে পারলে আর ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে এর চেয়ে বড় কিছু অর্জন করাও সম্ভব।
একটা বিষয় প্রমাণিত। বাংলাদেশ দল আর আগের মতো নেই। এ যেন নতুন বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া এই বাংলাদেশ ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সব ধরনের ক্রিকেটেই ভালো খেলতে সক্ষম।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।