সুতপার ঠিকানা
অস্তিত্বের অন্বেষণে একা এক নারী
মা দিবসকে সামনে রেখে ৮ মে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘সুতপার ঠিকানা’। চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক প্রসূন রহমান। সুতপার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ। পরিচালক ছবিটি উৎসর্গ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সকল নারীকে। ছবির নামকরণ, মুক্তির উপলক্ষ এবং উৎসর্গের ধরন-এই তিনটি বিষয় থেকে মোটামুটি স্পষ্ট হওয়া যায় ছবির গল্প সম্পর্কে। মোটা দাগে বলা যায়, এটি নারীর গল্প। আরো একধাপ এগিয়ে কেউ কেউ হয়তো বলবেন, নারীবাদী ছবি। আমি আগেই ঢালাওভাবে কোনো মন্তব্যে না গিয়ে ছবির ভেতর থেকে একটু ঘুরে আসব।
ছবির শুরুতে সুতপা একজন স্বতন্ত্র নারী। কিন্তু ছবির মাঝখানে আর স্বতন্ত্র থাকে না। ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ করে বাংলাদেশের সব নারীজীবনের প্রতীকী হিসেবে সুতপা উপস্থাপিত হয়। এটি বলার কারণ হলো, সুতপার জীবন তখন টিপিক্যাল বাঙালি বা বাংলাদেশি নারীর জীবনের সাথে মিলে যায়। তার জীবনকে আমরা বাংলার নারীজীবনের আর্কিটাইপ হিসেবে দেখতে পারি। কিন্তু ছবির শেষপ্রান্তে গিয়ে আবার আমরা স্বতন্ত্র বা ব্যক্তি সুতপাকে পাই। স্বতন্ত্র এই জন্য যে, সুতপা তখন একজন ব্যক্তি হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবে। তখন আর আমাদের সামনে সমগ্র বাংলার নারী হয়ে সুতপা আসে না। কারণ, আমরা সমগ্র বাংলার নারীকে এখনো প্রতিবাদী অস্তিত্ব-অন্বেষণী নারী হিসেবে পাইনি। বস্তুত, এই ছবিতে আরো অনেক নারী চরিত্র আছে। তাদের জীবন সুতপার জীবন থেকে অভিন্ন কিছু নয়। কিন্তু তারা তাদের অবস্থানকে মেনে নিয়েছে। সুতপা নেয়নি। এ জন্য সুতপা এক হয়েও আলাদা হয়ে যায়।
ছবিটি যাঁরা দেখেননি, তাঁদের জন্য আমি আরেকটু বিশদ বর্ণনায় যাব। নারীজীবনকে আমরা মোটাদাগে চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি- শিশুকাল থেকে কিশোরকাল, স্ত্রী, মা, শাশুড়ি বা দাদি। এই সিনেমায় একজন সুতপাকে আমরা এই চারকালেই পাই। বিয়ের আগের সুতপা ডানপিটে। স্বপ্নবিলাসী। সে অজপাড়াগাঁ থেকে পড়াশোনা শিখে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এখানে সুতপাকে স্বতন্ত্র বলব এ জন্য যে, সে গাঁয়ের আর পাঁচটা মেয়ের মতো স্বামী নিয়ে সুখের সংসার গড়ার স্বপ্ন আঁকেনি। সে বিয়ে ঠেকানোর জন্য যতটুকু প্রতিবাদ করা সাজে ততটুকু করেছে। কিন্তু তার প্রতিবাদ আমলে তোলেনি তার বাবা। মা কোন পক্ষের এখানে ঠিক বোঝা যায় না। কারণ তিনি এই সংসারে মোটামুটি ভয়েসলেস মানুষ। গড়পরতা সংসারে নারীর অবস্থান এমনই। সুতপাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসে। যথারীতি কুরবানির খাসি কেনার মতো করে উল্টেপাল্টে দেখা হয় সুতপাকে। তার আরবি-বাংলা-ইংরেজি জ্ঞান পরখ করা হয়। সুতপার কণ্ঠস্বর, আদব, চুল, পায়ের পাতা, হাঁটার ধরন- কোনোকিছুই বাদ যায় না। একজন নারীর জন্যে এর চেয়ে লজ্জা-অপমানের আর কিছু হয় না। সুতপা বাধ্য হয় সবকিছু মানতে। ক্ষণিক সময়ের জন্য তার অতিপরিচিত বাবা-মা অপরিচিত বনে যান। সুতপা অসহায়ভাবে পরখ করে, সে এখানে কেবলই একজন আউটসাইডার।
সব পরীক্ষায় পাস নিশ্চিত হলে তবেই পাত্রপক্ষ হ্যাঁ-সূচক অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। অপরদিকে পাত্র সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় না। তাকে একেবারে বিয়ের পিঁড়িতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সুতপার কপাল ভালো যে, পাত্র মোটামুটি সুপাত্র। যেমন আয়-রোজগারে, তেমন আচরণে। সুতপার দ্বিতীয় জীবন শুরু হয়। কিছুকাল শ্বশুরালয়ে, এরপর স্বামীর সংসারে। শ্বশুরবাড়িতে আর পাঁচটা বৌয়ের মতো সুতপাকেও শ্বশুর-শাশুড়ির মন জুগিয়ে চলতে হয়। শ্বশুর-শাশুড়িকে আমরা খারাপও বলব না, ভালোও বলব না। শুধু বলব যেমন হয় আর কি!
সুতপা স্বামীর সঙ্গে স্বামীর নামে বরাদ্দ সরকারি কোয়ার্টারে ওঠে। কিছুদিনের ভেতর সংসার আলো করে এক সন্তান আসে। একদিন হঠাৎ করে বুকের ব্যথায় মারা যায় স্বামী। কিছুদিন পর কোয়ার্টার থেকে বের হয়ে যাওয়ার নোটিশ আসে। সুতপাকে বাধ্য হয়ে ছেলেসহ ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। সেই ভায়ের বৌ তাদের উপস্থিতিকে কোনোভাবেই মানতে চান না। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুতপা চোখ-কান বন্ধ করে ভাইয়ের বাসায় দিনযাপন করে। একদিন ছেলেটা বড় হয়। পড়াশোনা শেষ করে বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করে। স্বামীর ভিটেমাটি বিক্রি করার ইচ্ছে সুতপার ছিল না। কিন্তু স্বামীর সম্পত্তির আসল অংশীদার এখন তার সাবালক ছেলে। কাজেই সুতপার মেনে না নিয়ে উপায় থাকে না। ছেলে ব্যবসায় সফল হয়ে নতুন ফ্ল্যাট কেনে। সুতপা ছেলের ফ্লাটে গিয়ে ওঠে।
কিছুদিনের ভেতর ছেলে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তোলে। এ ক্ষেত্রে ছেলেবৌ না, সমস্যা হয়ে আসে ছেলের শাশুড়ি। সুতপা আবার ঘর ছাড়ে। এই হলো মোটাদাগে গল্পটা।
আগেই বলেছি, সুতপার এই জীবনটাকে আমরা বাংলাদেশি নারীজীবনের জন্য আর্কিটাইপ বলতে পারি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটলেও, ঠিকানা বদলের বিষয়টা, অর্থাৎ বাবার পরিচয় থেকে স্বামীর পরিচয়ে, স্বামীর পরিচয় থেকে সন্তানের পরিচয়ে পরিচিত হওয়া এবং পর্যায়ক্রমে তাদের আশ্রয়ে থাকার ঘটনা প্রায় প্রতিটি নারীজীবনে ঘটে।
এ পর্যন্ত শুনে অনেকে হয়তো বলবেন, এটি তো আমরা সবাই জানি। টাকা খরচ করে সিনেমা বানিয়ে এসব ক্লিশে কথাবার্তা নতুন করে বলবার দরকার কী? এখানে দরকার এই জন্য যে, এই সিনেমার প্রটাগনিস্ট বা ভুক্তভোগী নারী সুতপা আর সবার মতো তার জীবনকে মেনে নেয়নি। বাধ্য হয়ে কোনো কাজ করা মানেই সেটি মেনে নেওয়া নয়। সুন্দর স্বামী, সাজানো-গোছানো সংসার- কোনোকিছুই সে মেনে নিতে পারেনি। সে মেনে নিতে পারেনি পিত্রালয় ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি আসা। সে মানতে পারেনি একের পর এক ঠিকানা বদলের ইতিহাস। সুতপার এই মানতে না পারাটাই এই সিনেমার মূল বিষয়।
চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যটি নিয়েও কিছু বলা প্রয়োজন। শেষ দৃশ্যটা সম্পর্কে আগে থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঠিক টুইস্ট অ্যান্ডিং বলব না, তবে একটা মোচড় ছিল। মনে হচ্ছিল সুতপা তার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। সে শেষপর্যন্ত জীবনযুদ্ধে পরাজয় বরণ করে আত্মগোপনে কিংবা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই সুতপা শক্ত হয়ে বসে। হাতের ব্যাগ থেকে হাতঘড়িটা খুলে হাতে পরে নেয়। হাতঘড়িটা এক্ষেত্রে একটা ইমেজ হিসেবে কাজ করেছে। ব্যাগের ভেতর পড়ে থাকা হাত ঘড়িটা হাতে জড়িয়ে সুতপা জানান দেয়, তার আগামী দিনগুলো এখন সে নিজে নির্ধারণ করবে। সে সিদ্ধান্ত নেয় সামনের স্টেশনটা যে স্টেশনই হোক, এই স্টেশনেই নেমে পড়বে। অর্থাৎ সেই মুহূর্তে সে একধরনের এপিফেনির মধ্যে দিয়ে যায়। তার ভেতরে বোধোদয় ঘটে। সে ঘুরে দাঁড়ায়। নিজের একটি ঠিকানা সে এখন তৈরি করবে। ঠিক যেভাবে আমরা ইবসেনের ডলস হাউসের নায়িকা নোরাকে দেখেছি, দৃশ্যত একটা সুখী পরিবার ছেড়ে রাস্তায় নামে শুধুমাত্র নিজের জীবনটাকে নিজের মতো করে জানতে।
অনেকটা একই কাজ করে সুতপা। ছেলের শাশুড়ি বেড়াতে এসে বলেছিল, সে কয়েকদিন থাকবে। রুমের সমস্যার কারণে সুতপা যেন ওই কয়দিন ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকে। দৃশ্যত বেয়ানের কথায় সুতপার এভাবে বাড়ি ছাড়ার কোনো কারণ ছিল না। সে চাইলে শক্ত হয়ে বাড়িতেই থেকে যেতে পারত, কিংবা ভাইয়ের বাড়িতেও চলে আসতে পারত। যে সুতপা জীবনের এতটা বাঁক সহ্য করে এসেছে, তার পক্ষে এতটুকু এডজাস্ট করা কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু সে তা করেনি। বেয়ানের প্রস্তাবনাটাও তার জীবনে একটা সূক্ষ্ম এপিফেনির মতো কাজ করেছে। সে ভেবে দেখেছে, এটি তার ছেলের বাড়ি, যেখানে যাবে সেটি তার ভাইয়ের। এর বাইরে তার সম্ভাব্য ঠিকানা হলো তার দেবরের বাড়ি। বাবা বেঁচে থাকলে থাকত বাবার বাড়ি। সব অন্যের ঠিকানা। সুতপার ঠিকানা কোনটা? এই প্রশ্ন থেকেই সুতপা নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যের কথা না ভেবেই ট্রেনে চেপে বসেছে। এখানে এসে আমরা যেমন নারীবাদী, তেমন অস্তিত্ববাদী এক সুতপাকে পাই। এই সুতপা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী।
এ পর্যায়ে সিনেমার আরো দু-একটি অনুষঙ্গ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি।
ছবির বিরাট অংশজুড়ে আছে সুতপার অতীতচারী হয়ে ওঠার বিষয়টি। সে তার শহরের জীবনকে মেনে না নিতে পারার অন্যতম কারণ হলো তার হোমসিকনেস। সুতপার কল্পনায় দুটি ইমেজ এখানে বারবার দেখানো হয়েছে—তার শিশু ও কিশোরকালে গাছে দড়ি বেঁধে দোল খাওয়া এবং শ্যামল মাঠের আইল ধরে দু-হাত মেলে অবাধ ছুটে চলা। এই দৃশ্য দুটি তার মানসপটে ভেসে উঠে বারবার তাকে বন্দিজীবনের কথা স্মরণ করে দিয়েছে। সুতপা বারবার সেই ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের কথা ভেবে, খর্ব হয়ে আসা স্বাধীনতার কথা ভেবে ব্যথিত হয়েছে।
ছবির ন্যারেটিভ বা বর্ণনাকৌশলে অভিনবত্ব আছে। ছবির মূল গল্পটা আমরা ফ্লাশব্যাকে পাই। সুতপা ট্রেনে উঠে বসে। সে কে, কোথায় যাচ্ছে- এসব সম্পর্কে আমরা তখনো অতটা অবগত নই। সুতপা স্মৃতি থেকে তার অতীতটা কোলাজের মতো করে আমাদের সামনে তুলে ধরে। আমরা দৃশ্যের পর দৃশ্য মিলিয়ে সুতপার সমগ্র জীবনটা দেখে নিই। আর এ ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে একটা অদৃশ্য কণ্ঠস্বর। মাঝে মাঝে থার্ড পারসন ন্যারেটিভ থেকে আমাদের সুতপার সম্পর্কে অনেক কিছু জানানো হয়। কিংবা কখনো কখনো সুতপার জীবনের ঘটনাগুলোকে সরলীকরণ করে সমগ্র নারীজীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখানো হয়। এই বর্ণনাকৌশলটা এই ছবির শিল্পমানে ভিন্ন একটা মাত্রা যোগ করেছে।
ছবির প্লে-মেকার হিসেবে কাজ করেছে এর মিউজিক। কারণ এ ধরনের সিরিয়াস কাহিনীর ছবি দেখতে গিয়ে দর্শকদের ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। মিউজিক এ ক্ষেত্রে টনিকের কাজ করেছে। ছবির চমৎকার মিউজিক করেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। কোথাও কোথাও আধুনিক এবং ফোকের ফিউশন ঘটিয়ে চমকে দিয়েছেন। বেশকটি ভালো গানের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও ছিল উল্লেখ করার মতো।
অভিনয়শিল্পীদের নিয়েও কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অপর্ণা ঘোষ অভিনীত ‘মেঘমল্লার’ ছবিটি আমি দেখেছি। সেখানে অপর্ণার চরিত্রে এতটা বৈচিত্র্য ছিল না। অপর্ণা এখানে একসঙ্গে কয়েকটি সময়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় সব মিলিয়ে মন্দ ছিল না। এ ছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহাদাৎ হোসেন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, সায়কা আহমেদ, মিম চৌধুরী, নভিদ মুন্তাসীর ও নিবিড় কুমার। সবার অভিনয় ছিল পরিচ্ছন্ন। এ ক্ষেত্রে পরিচালক প্রশংসা পাবেন এই কারণে যে, ছবির চরিত্র অনুযায়ী কাস্টিং ছিল জুতসই। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ন্যারেটর ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। স্ক্রিপ্টে কাব্যিক ভাবটা থাকার কারণে মনে হচ্ছিল, ব্যাকগ্রাউন্ডে যেন কবিতা শুনছি।
ছবির ক্রটি নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। এটি প্রসূন রহমানের প্রথম কাজ। দৃশ্যপট নির্মাণে তো বটেই, ছবির সংলাপ রচনাতেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন প্রসূন রহমান। ক্যামেরার কাজও ছিল উতরে যাওয়ার মতো। তবে তিনি প্রকৃতি থেকে আরো কিছুটা নিতে পারতেন। ছবির গল্প সেটা দাবি করে। ছোট্ট ছোট্ট করে আরো কিছু ইমেজের আশ্রয় নিলে নির্মাণটা আরো বেশি শৈল্পিক হতো। সব মিলিয়ে নিজের প্রথম ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন পরিচালক প্রসূন রহমান। তিনি যে তারেক মাসুদ, মোরশেদুল ইসলামের মতো গুণী পরিচালকদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে চলেছেন, সেটি তাঁর গল্প নির্বাচন, পরিমিতি ও পরিচ্ছন্নতা বোধ থেকে বলা যায়। তাঁর কাছে আরো অনেক প্রত্যাশা রইল।