নরেন্দ্র মোদির ‘সেলফি কূটনীতি’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেলফিপ্রীতি নতুন নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের তিনি যথেষ্ট পটু। গত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আঙুলের দাগসমেত সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন টুইটারে। সেলফি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাঁধে হাত রেখেও। এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু এরপরও ভক্তদের সঙ্গে অথবা বিখ্যাত ব্যক্তি বা স্থানে হরহামেশা সেলফি তুলছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেইজিংয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সাথে হাস্যোজ্জ্বল একটি সেলফি তোলেন। বেইজিংয়ে বিখ্যাত টেম্পল অব হেভেন পরিদর্শনকালে সেলফি তুলে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন মোদি, জানিয়েছে রয়টার্স।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন মোদির সেলফিঘটিত কর্মকাণ্ডকে ‘সেলফি কূটনীতি’ বলে অভিহিত করেছে।
‘সেলফি কূটনীতির’ আখ্যা পাওয়া ঘটনাটিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার কাছে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে পরিচিত মোদি চীন সফরের আগেই দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগ ওয়েইবোতে অ্যাকাউন্ট খোলেন। আজ শুক্রবার নিজের অ্যাকাউন্টে মোদি প্রথম পোস্টটি করেন। সে পোস্টের ছবিটি ছিল দুই রাষ্ট্রনেতার হাসিমুখের ছবি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, সেলফিটি মন জিতে নিয়েছে চীনাদের। বিশেষ করে দেশটির প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ প্রজন্মের। মোদির এই পোস্টের পর একদিনেরও কম সময়ে ওয়েইবোতে মোদির অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজারে।
মাইক্রোব্লগটির ব্যবহারকারীদের অনেকেই চীনা এবং ইংরেজি ভাষায় ছবিটির নিচে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ছাড়াও তিনদিনের চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার বেইজিংয়ের স্কুলের খুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কিছু সেলফি তুলেছেন মোদি। আর যথারীতি তা আপলোড করেছেন টুইটারে।
চীন ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে মোদি তিন দিনের চীন সফরে আছেন। শুক্রবার দেশ দুটি বিভিন্ন বিষয়ে ২৪টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, রেল, অভ্যন্তরীণ খনিজ উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাসবিষয়ক চুক্তি। চুক্তিগুলোর আওতায় দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার কোটি রুপি লেনদেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোদির সফর ঘিরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাঁর নিজ শহর শিয়ানে বিশেষ আতিথেয়তা করেন তাঁকে।