বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত : আপিল বিভাগের আদেশ ২৮ মে
আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ মে এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ আজ রোববার শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অপর দিন সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও রিটকারীর পক্ষে ইউনুস আলী আকন্দ। শুনানিতে ইউনুস আলী বলেন, ‘বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক মাস আগেই ভোটার লিস্ট সঠিকভাবে প্রণয়ন করতে হয়। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর কয়েকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভোটার লিস্ট হালনাগাদ করা না হওয়ায় একজনের নাম দুই-তিনবার করে তালিকায় এসেছে।’
গত ১৭ মে জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে এক আদেশে বার কাউন্সিল নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বার কাউন্সিল আইন, ২০০৩-এর ৩ নম্বর ধারাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বার কাউন্সিল ২০১৫ সালের নির্বাচনী তফসিল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের পর একই দিন দুপুরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এবং বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীদের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
বার কাউন্সিলের নির্বাচন ২০ মে নির্ধারিত ছিল। পরে এক আবেদনের কারণে ১২ মে কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় নির্বাচন পিছিয়ে ২৭ মে ঠিক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার এ নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এর আগেও ভোটার তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার থাকার কথা জানিয়ে ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেন। বার কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, এ ভোটার তালিকা ‘স্বচ্ছভাবে হয়নি। কোনো নির্বাচিত সদস্য এ কাজের সঙ্গে ছিলেন বলেও তাঁরা জানেন না।’
বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ সদস্য নির্বাচিত হবেন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরো সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন।
এই ১৪ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন র্কমর্কতা হিসেবে পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।