রাসিক মেয়রের দায়িত্ব চাওয়ায় হয়রানির অভিযোগ
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্যানেল মেয়র-৩ নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ করেছেন, ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব চাওয়ার পর থেকে পুলিশ তাঁকেসহ তাঁর পরিবারকে হয়রানি করছে।
এই হয়রানি বন্ধ করে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব চেয়ে আজ রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন নুরুন্নাহার বেগম।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হয়রানি নয়, নুরুন্নাহার বেগম কয়েকটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি। এজন্য পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।’
এদিকে নুরুন্নাহার বেগমের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমি মোসা. নুরুন্নাহার বেগম রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং নির্বাচিত প্যানেল মেয়র-৩। গত ৭ মে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র বিভিন্ন ফৌজদারী মামলার কারণে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ায় তিনি অফিস নথিতে এবং পত্র দ্বারা সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ১২ ধারা অনুসারে আমাকে মেয়রের দায়িত্ব অর্পণ করেন। যেহেতু প্যানেল মেয়র-১ কারাগারে আছেন এবং প্যানেল মেয়র ২ এর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। প্রকাশ থাকে যে গত ১২-৫-২০১৫ তারিখে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব চেয়ে পত্র প্রেরণ করার পর থেকে প্রতি নিয়ত আমিসহ আমার পরিবার পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্মারক নং ৪৬.০৩.৬১০০.০০৩.৩৪৩৬.১৫.১০৪৮ মোতাবেক অবহিত করা হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
অতএব পুলিশ হয়রানি বন্ধ করে সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর ১২ ধারা অনুসারে আমাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।’
চিঠিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবে জসীম উদ্দিন হায়দারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। চিঠির অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্যানেল মেয়র-৩ নুরুন্নাহার বেগম জানান, আইন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার কথা। তাঁকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পুলিশ প্রতিদিনই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ কারণে দায়িত্ব পেতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
৭ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে। বুলবুলের বিরুদ্ধে পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ রায় হত্যাসহ নাশকতার ১৭টি মামলা আছে। এ ছাড়া আদালত তাঁর নামে দেওয়া চারটি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এ সব মামলায় চার মাস ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া প্যানেল মেয়র-১ আনোয়ারুল আমিন আযব গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। প্যানেল মেয়র-২ নুরুজ্জামান টিটো ফৌজদারি মামলার কারণে পলাতক আছেন।