ফারুকীর লক্ষ্য এবার আন্তর্জাতিক দর্শক
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কেবল দেশের সব গণমাধ্যমেই না, টাইমস অব ইন্ডিয়া কি কলকাতার আনন্দবাজার-সব জায়গাতেই খবর হয়েছে বিষয়টি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিতে না কি অভিনয় করছেন বলিউডের এ সময়ের দাপুটে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। ছবির নাম ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। ছবির কাস্টিংয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা না থাকায় এ নিয়ে খবরের ডালপালাও ছড়িয়েছে বেশ। আজ ফারুকী নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে খোলাসা করেছেন অনেক কিছু।
এ নিয়ে আগেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল এনটিভিবিডির। ছবির কাস্টিং কিংবা নওয়াজউদ্দিনের বিষয়ে কোনো কিছুই নিশ্চিত করেননি তিনি।
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাথে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ লম্বা আলাপ হয়েছে ফারুকীর। সেখানে ছবির কাহিনী, প্লট এবং কাস্টিং নিয়ে সামান্য কিছু আভাস দিলেও চূড়ান্ত কোনো নাম বলেননি তিনি। ফারুকী জানান, নওয়াজউদ্দিনের সাথে এ ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নওয়াজউদ্দিনকে বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফারুকী। একইসাথে জানান, একসাথে কাজ করতে পারলে খুবই খুশি হবেন তিনি। ফারুকীর কাজ এবং সামগ্রিক অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। কলকাতার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাতেও এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয় গতকাল রবিবার।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ট্যাটাস অনুসারে, এ ছবিতে নওয়াজউদ্দিনের(যদি তিনি কাজ করেন) বিপরীতে একজন আমেরিকান এবং বিশেষ চরিত্রে একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে দেখা যাবে। তাদের নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে কিছুদিন পরই। নওয়াজউদ্দিনের কাস্টিংয়ের বিষয়ে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে কিছুদিন পর, এখনো চূড়ান্ত নয় সবকিছু। এ নিয়ে খানিকটা মজা করেই লিখেছেন ফারুকী, ‘একটু সাসপেন্স নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিতে ভিনদেশি কলাকুশলীর অন্তর্ভূক্তি অবশ্য এই প্রথম নয়। তাঁর বহুল আলোচিত সর্বশেষ ছবি ‘পিঁপড়াবিদ্যা’য় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী শিনা চৌহান। এরপর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। স্বদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রাপ্তি ও স্বীকৃতি তিনি বহু আগেই পেয়েছেন, কাজেই কাস্টিংয়ে তো স্বদেশের আঙিনা পেরোতেই পারেন।
‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ অবশ্য ঠিক বাংলা ছবি নয়। ফারুকীর স্ট্যাটাস ভাষ্যে, ‘ভাষা হিসেবে এখানে প্রধানত থাকছে ইংরেজি, তারপর হিন্দি, উর্দু এবং খানিকটা বাংলা। ছবির গল্পে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থাকলেও এটা মূলত সমসাময়িক বিশ্ব বাস্তবতার ছবি।’