সবচেয়ে সেরা স্ত্রী হবো : প্রীতি জিনতা
বলিউডে প্রীতি জিনতার আগমন ১৯৯৮ সালে। ‘দিল সে’ ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করে সাড়া জাগিয়েছিলেন শুরুতেই। তারপর ক্যারিয়ার এগিয়েছে দুর্দান্তভাবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডের সফলতম অভিনেত্রী ছিলেন। পড়ালেখা করেছেন অপরাধ মনোবিজ্ঞান নিয়ে। এখন চলচ্চিত্রে নয়, অনেক বেশি ব্যস্ত আইপিএলে তাঁর মালিকানাধীন দল ‘কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব’ নিয়ে। বলিউডের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ফিল্মফেয়ার’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন এই মিষ্টি হাসির অভিনেত্রী।
প্রশ্ন : রিয়্যালিটি শোর বিচারকের কাজ কেমন লাগে?
উত্তর : কাউকে যাচাই করা সহজ নয়, তবে সততায় তো আমার কোনো সমস্যা নেই! যখন আপনি কাউকে সঠিকভাবে যাচাই করবেন এবং সাহস জোগাবেন, তখন বিষয়টা গঠনমূলক হয়। আপনি যদি শুধু সমালোচনা করেন, তবে তাতে কেবল ক্ষতিই বাড়ে। আমি মানুষের সাথে সেভাবেই আচরণ করি বা করার চেষ্টা করি- যেমন আমি তাদের থেকে পাই।
প্রশ্ন : অভিনেত্রী না হলে কী করতেন?
উত্তর : তা তো বলতে পারব না! কিন্তু আমি কখনোই অভিনেত্রী হতে চাইনি। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মা আমায় জিজ্ঞেস করতেন, আমি কী হতে চাই। আমি বলতাম প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, আবার বলেছি যে পুলিশ হতে চাই বা বিচারক হতে চাই। এমনকি এও বলেছি যে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই বা ট্রাক ড্রাইভার হতে চাই, কিন্তু কখনোই অভিনেত্রী হতে চাইনি। প্রথমে ক্রিমিনাল সাইকোলজি, তারপর গেলাম অভিনয়ে- এখন ক্রিকেট!
প্রশ্ন : আপনি সাহসী আর স্পষ্টভাষী মানুষ? এতে কি কখনো সমস্যার মুখে পড়েছেন?
উত্তর : অন্যরা কী ভাবল তা তো আমার ভাববার সময় নেই। আগেকার দিনে কে কী ভাবত, ওসব নিয়ে ভাবা আমি ছেড়ে দিয়েছি। কারণ ওসব নিয়ে ভাবতে গেলে আপনার খারাপ লাগা শুরু করবে, আপনার চেহারা খারাপ দেখাবে, এমনকি আপনি ঘুমাতেও পারবেন না। এটা অন্য কারো কথা নয়, আপনার কথা। সাথে আরো অগণিত মানুষ! যারা আমাকে ভালোবাসে, আমি যাদের ভালোবাসি আর যারা আমাকে নিয়ে ভাবে; আমি কেবল তাদের নিয়েই ভাবি। ‘এ’ আর ‘ও’ কী ভাবছে, তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আমি সময় নষ্ট করি না।
প্রশ্ন : আপনি কেমন স্ত্রী হবেন?
উত্তর : আমি সবচেয়ে সেরা স্ত্রী হব।
প্রশ্ন : আপনার আসন্ন ছবি ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’-এর কী খবর?
উত্তর : সানি দেওল তাঁর ছবিটি (ঘায়েল ওয়ানস এগেইন) শেষ করার সাথে সাথেই আমরা ছবিটা শেষ করে ফেলব। আমরা শিগগিরই কাজ শুরু করব।
প্রশ্ন : কোন বিষয়টা আপনাকে হতাশ করে?
উত্তর : যখন জীবনে কোনো একটা বিষয় ঠিকঠাক চলে না, হতাশা আপনাআপনি ভর করবে আপনার ওপর। কিন্তু আমি লম্বা সময় কষ্ট নিয়ে থাকি না। আমি হলাম সুখী মানুষ!
প্রশ্ন : যখন কষ্ট লাগে তখন কী করেন?
উত্তর : চুপ করে ঘরে বসে থাকি, প্রচণ্ড জোরে চেঁচাই আর কান্নাকাটি করি। আর খানিকটা সময় পরে আমি একদম ঠিক হয়ে যাই।