সেই সফিউল্লাহ এখন আ.লীগ নেতা : হান্নান শাহ
যে সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে যাননি, সেই সফিউল্লাহই এখন আওয়ামী লীগের নেতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।
রোববার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে হোটেল টাইগার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী।
হান্নান শাহ বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান নিজে একজন জেনারেল হলেও তিনি এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাসহ জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু অবিচার করে তাঁকে সে সময় প্রধান সেনাপতির পদ দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছিল জেনারেল সফিউল্লাহকে।’
‘অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহায্যের জন্য জেনারেল সফিউল্লাহর সঙ্গে মৃত্যুর আগে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট কথা বলেছিলেন। আজ সেই জেনারেল সফিউল্লাহ আওয়ামী লীগ নেতা,’ বলেন হান্নান শাহ।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্যই আওয়ামী লীগ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির একটি কর্মী বেঁচে থাকতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। এই সরকার জিয়াকে ভয় পায়, তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।’
‘বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে পরিবর্তন করা যাবে না, যা প্রতিটি বাংলাদেশির পাসপোর্টে লেখা থাকে,’ বলেন হান্নান শাহ।
হান্নান শাহ দলের নেতাকর্মীদের আগামী আন্দোলন সফল করার জন্য এখন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ড্যাবের খুলনা শাখার সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।