বাজেট
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭%
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। টানা ছয়বার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় সপ্তমবার লক্ষ্যমাত্রা কমালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগের অর্থবছরের (২০১৪-১৫) বাজেটে এর হার ধরা হয়েছিল ৭.৩ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের ৪৪তম বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে বলেন, ‘আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমি ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবা খাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারি খাতের বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি। উপরন্তু, রাজস্ব ও মুদ্রানীতির সুসমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
অনেকের মতে, সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকে এবারই সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থান থেকে বাজেট ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথমার্ধের সন্তোষজনক গতিধারা বজায় থাকলে এ লক্ষ্যের কাছাকাছি যেতে পারতাম। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২০ দলীয় জোটের ধ্বংসযজ্ঞ অর্থনীতির সাবলীল গতিকে কীভাবে ব্যাহত করেছে; যদিও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততায় অল্প সময়েই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কৃষিতে সন্তোষজনক উৎপাদন, সচল গ্রামীণ অর্থনীতি, উৎসাহব্যঞ্জক প্রবাস আয়, সরকারি ব্যয় ও মজুরি বৃদ্ধির প্রভাবে অভ্যন্তরীণ চাহিদার গতি সচল রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করেছে, যাতে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, বাস্তব পরিস্থিতি আরো ভালো এবং প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।