বাজেট
৬৫-ঊর্ধ্ব মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ
যেসব মুক্তিযোদ্ধার বয়স ৬৫ বছর বা তাঁর বেশি হয়ে গেছে, আসছে বাজেটে তাঁদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
নিয়ম অনুযায়ী, এতদিন সব বয়সী মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার করে টাকা পেতেন। এই প্রস্তাব পাস হলে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা আগের চেয়ে দ্বিগুণ ১০ হাজার টাকা ভাতা হিসেবে পাবেন প্রতি মাসে।
এ ছাড়া গেজেটভুক্ত যেসব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তাঁদের করমুক্ত আয়ের সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতদিন পর্যন্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল চার লাখ টাকা। এই অঙ্ক বাড়িয়ে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নেওয়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ, প্রায় সব জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করার কথাও জানান তিনি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আমরা নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছি। উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে আছে- সম্মানী ভাতার হার বৃদ্ধি, চিকিৎসা ও রেশন প্রদান, সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা সংরক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক সংগঠনসমূহের জন্য মঞ্জুরি, খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা প্রদান ইত্যাদি। এ ছাড়া ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণের কাজ চলছে। প্রায় সকল জেলা-উপজেলায় তৈরি করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ৩২টি স্মৃতিস্তম্ভ। চলমান আছে আরো ২৮টির কাজ। বধ্যভূমি ও গণকবরসমূহ সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্তারে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, যেসব মুক্তিযোদ্ধা ৬৫ বছর অতিক্রম করেছেন তাঁদের সকলের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছি।’
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে চার লাখ ২৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।’