মুমিনুলের ২০ রানের হতাশা
আর মাত্র ২০ রান করলেই দারুণ একটা কীর্তি স্পর্শ করতেন মুমিনুল হক। দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ টেস্টে অর্ধশতকের রেকর্ডে ভাগ বসাতেন তিনি। কিন্তু আশা জাগিয়েও মুমিনুল ব্যর্থ। ব্যক্তিগত ৩০ রানে হরভজন সিংকে অযথা তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে উমেশ যাদবকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
ক্রিকেট-ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে আরেক ‘গ্রেট’ ভিভ রিচার্ডসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন গত মাসে, পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে। টানা ১১ টেস্টে অর্ধশতক করা মুমিনুলের সামনে ছিলেন শুধুই ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু মুহূর্তের অসাবধানতায় কীর্তিটা সম্ভবত গড়তে পারছেন না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ইনিংস এখনো আছে ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টির দাপটে ফতুল্লা টেস্টে তিনি আরেকবার ব্যাট করার সুযোগ পাবেন কি না, তা বলা মুশকিল।
মুমিনুল এমন একটা সুযোগ নষ্ট করায় ভীষণ হতাশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ‘এই ব্যর্থতার জন্য তার প্রতি আমার যেমন রাগ হচ্ছে, তেমনি দুঃখও হচ্ছে। মাত্র ২০ রানের জন্য রেকর্ডটা সে ছুঁতে পারল না। একে দুর্ভাগ্যজনক ছাড়া আর কী বলা যায়! ওই সময়ে সে এমন শট না খেললেও পারত।’
হতাশাভরা কণ্ঠে রকিবুল আরো বললেন, ‘মুমিনুল খুব ঠান্ডা মাথার ব্যটসম্যান। আশা করেছিলাম সে রেকর্ডটা গড়বে। কিন্তু তা করতে না পেরে সে যেমন নিজেকে বঞ্চিত করেছে, তেমনি দেশকেও।’
তবে সব মিলিয়ে মুমিনুলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সাবেক প্রধান নির্বাচক রকিবুল, ‘টেস্ট ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। টানা ১১ টেস্টে অর্ধশতক করায় তাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে।’
২০১৩ সালের মার্চে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষিক্ত মুমিনুলের এটা পঞ্চদশ টেস্ট। এই ১৫ টেস্টের ১৩টিতেই অন্তত একটি ইনিংসে শতক বা অর্ধশতক করেছেন তিনি। এর আগে শুধু জীবনের তৃতীয় টেস্টে (২০১৩ সালের এপ্রিলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) কোনো শতক বা অর্ধশতক করতে পারেননি।