‘ভিন্ন’ কৌশলে আবার সফল মুস্তাফিজ
প্রথম ম্যাচে ‘রহস্যময়’ অফ কাটারে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিংয়ের ধরনে পরিবর্তন এনে আবারো সফল মুস্তাফিজুর রহমান। পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের পরামর্শে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আরো একবার সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত এই বাঁহাতি পেসার। জীবনের প্রথম দুই ওয়ানডেতে পাঁচ ও ছয় মোট ১১টি উইকেট নিয়ে আজ যিনি ইতিহাসের পাতায়।
ইতিহাসগড়া সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মুস্তাফিজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সব সময়ই চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করার। আজও সেই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি, তাই সাফল্য পেয়েছি। তবে পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের পরামর্শে বোলিংয়ের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আর ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছি বলেই হয়তো সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।’
একজন তরুণ পেসারের বোলিংয়ে এত বৈচিত্র্যের রহস্য কী? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে সাতক্ষীরার ১৯ বছরের তরুণের জবাব, ‘নিয়মিত অনুশীলন করেছি বলেই হয়তো ভালো কিছু করতে পারছি। এর পেছনে আর কোনো রহস্য নেই। তবে ভালো করার প্রাণপণ চেষ্টা তো ছিলই।’
প্রথম ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তাঁর ধাক্কা-কাণ্ড নিয়ে কম হৈচৈ হয়নি। রোববার সেই ধোনির উইকেট নিতে পেরে একটু বেশিই তৃপ্তি লাগছে কি না—এমন প্রশ্নে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ছয়টা উইকেট নিয়েই ভালো লেগেছে। ধোনির উইকেট পেয়ে আলাদা কোনো অনুভূতি হয়নি। তেমন কিছু ভাবিওনি।’
পাঁচ-ছয় দিন আগেও তাঁর জীবন ছিল অন্য রকম। তাঁকে সেভাবে কেউ চিনত না। অথচ এখন তিনি দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত এক বিজয়ী ক্রিকেটার। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বদলে যাওয়া জীবন সম্পর্কে মুস্তাফিজের মন্তব্য, ‘আসলেই জীবনটা বেশ বদলে গেছে। চারদিক থেকে ফোন আসছে, সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে। ভালোই লাগছে। এই ধারাবাহিকতা সব সময় ধরে রাখতে পারলে খুব ভালো লাগবে।’