শর্ত ছাড়াই রাজ্জাককে ফেরত দেবে মিয়ানমার : বিজিবি
কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পিএসসি গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় (এসএমএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান জানান, রাজ্জাককে ফেরত আনার ব্যাপারে সন্ধ্যায় মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠক শেষে মিয়ানমারে নিযুক্ত ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব তাঁকে (ডিজি) বিষয়টি জানিয়েছেন। বৈঠকে জানানো হয়, রাজ্জাককে সসম্মানে ব্যক্তিগত সরঞ্জামসহ ‘নিঃশর্তে’ ফেরত পাঠানো হবে।
যদিও এর আগে সন্ধ্যায় বিজিবি টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ আজ এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন রাজ্জাককে মিয়ানমার শর্ত সাপেক্ষে ফেরত দিতে রাজী হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, ‘সোমবার বিজিপির সঙ্গে তিনবার আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিজিপি। বিজিপি জানিয়েছে, নায়েক আবদুর রাজ্জাকের সাথে ৫৫৫ জন মালয়েশিয়াগামী অভিবাসীকেও ফিরিয়ে আনতে হবে। তবেই রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে মিয়ানমারের মংডুতেই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে কবে নাগাদ এ বৈঠক হবে তা নিশ্চিত করে কিছুই জানায়নি বিজিপি।
আবুজার আল জাহিদ আরো বলেছিলেন, ‘আমরা বিজিপিকে বলেছি, রাজ্জাক এবং অভিবাসী ইস্যুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৫৫৫ জন অভিবাসীর মধ্যে কয়জন বাংলাদেশি তা যাচাই-বাছাই করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আপাতত রাজ্জাককে ফেরত দিতে হবে। অভিবাসী ফেরতের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পর বিজিবি সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিজিপিকে জানানো হয়েছে।’
গত ১৭ জুন বুধবার টেকনাফের নাফ নদের জাদিমুরা পয়েন্ট সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির সময় নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। সেখানে তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের পর অনলাইনে রাজ্জাকের ছবি প্রকাশ করা হয়। রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে বিজিবির পক্ষ থেকে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও সাড়া দেয়নি বিজিপি।