এমপিপুত্র রনি ফের চারদিনের হেফাজতে
রাজধানীর ইস্কাটনে যানজটে পড়ে জোড়া খুনের মামলায় সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে ফের চারদিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান তাঁর হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গত রোববার ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) দিপক চন্দ্র দাস ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রনির সাতদিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুনানির পর রনির চারদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ রনির পক্ষে তাঁর আইনজীবী শওকত ওসমান হেফাজত আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন হেফাজতের পক্ষে শুনানি করেন।
গত ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে যানজটে পড়ে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।
নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় মামলা করেন।
গত ৩১ মে ওই গাড়ির চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ১ জুন ইমরান আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ইমরান স্বীকারোক্তিতে ঘটনার বর্ণনা দিলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে রনিকে চারদিনের হেফাজতে পাঠান আদালত। কিন্তু রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। গত ১৬ জুন বখতিয়ার আলম রনি জামিন চাইলে মহানগর হাকিম আমিনুল ইসলাম তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
এ ছাড়া ঘটনার সময় রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু কামাল মাহমুদ, টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর আদালতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।