মায়ার সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত না : দুদকের আইনজীবী
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে হাইকোর্ট খালাস দিলেও আপিল বিভাগ তা বাতিল করে দিয়েছে। এ কারণে তাঁর সংসদ সদস্যপদ থাকা উচিত নয়।
আজ বুধবার দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের সমালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ে আপিল বিভাগ লিখেছেন, ‘ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্ট বিচারিক মনোভাবের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেওয়ার কোনো উপাদানই নেই। তাই মামলাটি হাইকোর্ট বিভাগে পুনরায় আপিলের শুনানির জন্য ফেরত পাঠানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ রায় লেখেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছিদ্দিকী।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদকের মামলায় যেহেতু মোফাজ্জল হোসেন মায়াকে ১৩ বছর সাজা দিয়েছিলেন বিশেষ আদালত এবং হাইকোর্ট খালাস দিলেও আপিল বিভাগ তা বাতিল করে দিয়েছেন, তাই তাঁর সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিত না। সংবিধানের ৬৬ (২) ঘ অনুযায়ী কেউ নৈতিক স্খলনের কারণে সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি সংসদ সদস্য থাকতে পারেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘তাঁর মন্ত্রিত্বের বিষয়েও সংসদে উন্মুক্ত বিতর্কের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
গত ১৪ জুন মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আবার আপিল শুনানির আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে মায়া ২৯ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালের ঢাকার একটি বিশেষ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করেন। পরে মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ মে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট মায়ার আপিল মঞ্জুর করে তাঁর সাজা বাতিল করে খালাস দেন।