মাশরাফিদের সামনে এ কোন অশনিসংকেত?
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার জন্য বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ ছিল। ঘরের মাঠে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোট ছয়টি ম্যাচের দুটিতে জিতলেই ওয়ানডের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্টটিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই সহজ হিসাব জটিল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী আগস্টে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা। সিরিজটা শেষ পর্যন্ত হলে নতুন করে হিসাব-নিকাশের সামনে বসতে হবে বাংলাদেশকে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এই সময়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে না থাকায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিতই বলা যায়। এখন ৯৩ রেটিং নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে মাশরাফির দল। ৮৮ ও ৮৭ রেটিং নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মধ্যে। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে পারলে বাংলাদেশকে সরিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করে ফেলার সুযোগ থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান দুই দলের সামনেই।
আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরে একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা পাকিস্তানের। তবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ড (জেডসি) দ্বিপক্ষীয় সিরিজটির বদলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে চাইছে। জেডসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর আর ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ওয়ানডে খেলার সুযোগ নেই ক্যারিবীয়দের সামনে। অন্যদিকে পাকিস্তান জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তারপর আগস্টে যাবে জিম্বাবুয়ে সফরে। আর বাংলাদেশ জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজটা হলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার অঙ্কটা বেশ জটিলই হয়ে পড়বে মাশরাফির দলের জন্য।