সাপের দংশনে মরছে মানুষ, রক্ষা নেই পশুপাখিরও
তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে সাতক্ষীরার সুন্দরবনসংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলায় সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সাপের দংশনে এরই মধ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাপের কামড়ে কয়েকটি রাজহাঁস, মুরগির বাচ্চা ও ছাগল মারা গেছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী কার্বলিক এসিড ও শুকনা মরিচ পুড়িয়ে ধোঁয়া দিচ্ছে।
শ্যামনগরের কৈখালি ইউনিয়নের স্কুলশিক্ষক আকতার হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনটি গ্রামের পাঁচজন সাপের দংশনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছে। অন্যরা স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসাধীন আছে। বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় সাপের গর্তগুলো পানিতে ভরে গেছে। এ কারণে থাকার জায়গা হারিয়ে সাপ ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
কুলখালি গ্রামের গৃহবধূ শিরিনা খাতুন জানান, রাতে তাঁর হাঁস-মুরগির ঘরে সাপ ঢুকে চারটি রাজহাঁস মেরে ফেলেছে। সকালে তিনি রাজহাঁসগুলোর পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ণ দেখতে পেয়েছেন।
নুরনগর ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের আবদুর রহমান জানান, গত পাঁচ দিনে সাপের কামড়ে তাঁর ছয়টি ছাগল মারা গেছে।
শৈলখালি গ্রামের সফুরা খাতুন জানান, বিষধর সাপ তার মুরগির খামারের ১৫ দিন বয়সী ২৪টি মুরগির বাচ্চা খেয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সাপের কবল থেকে রক্ষা পেতে কার্বলিক এসিড ও শুকনা মরিচ পুড়িয়ে ধোঁয়া দিচ্ছি।’