কেক কেটে এনটিভির এক যুগপূর্তি উদযাপন
‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’—এই স্লোগানে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতিকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠার এক যুগপূর্তি উৎসব পালন করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি। আজ ৩ জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা এক মিনিটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অতিথিদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপনের সূচনা করেন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী।
urgentPhoto
এ সময় মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী এনটিভির পথচলায় দেশ ও বিদেশের অগণিত দর্শকের অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এনটিভি এক যুগ ধরে যেভাবে মানুষকে বস্তুনিষ্ঠ ও নির্মল আনন্দ দিয়ে গেছে, আগামী দিনেও তা অব্যাহত রাখবে।’
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ক্যাবল অপারেটর, বিজ্ঞাপনদাতা, সর্বস্তরের মানুষ, শিল্পী-সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, নিউজ টুডের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন, অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ, নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী , অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু প্রমুখ।
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী বলেন, ‘কেবল সংবাদ নয়, অনুষ্ঠান বিভাগ, এমনকি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও আমরা কখনো গুণগত বিষয় নিয়ে ছাড় দিই না। এনটিভি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি চ্যানেল, যারা আইএসও সনদ পেয়েছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জন্য এটি গর্বের বিষয়। বাংলাদেশের, দেশের এবং দেশের বাইরে থেকে যত রকমের প্রতিভা আছে, সব বয়সের, আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের সামনে উপস্থিত করার জন্য। আমাদের পিএইচপি কোরআনের আলো যে প্রতিযোগিতাটা চলছে, সেখানে যারা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হয়েছে শুধু বাংলাদেশে নয়, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় কোনো জায়গায় ৫৮টি, কোনো জায়গায় ৫৭টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তাঁরা কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়ে আসছে। আরো আনন্দের বিষয়, এই ছেলেরা আজকে বাংলাদেশের বাইরে লন্ডন থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা তারাবির নামাজ পড়াচ্ছেন। এটাও একটা গর্বের বিষয়।’
মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী আরো বলেন, ‘যদি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও দেখেন ক্লোজআপ ওয়ান, মার্কস অলরাউন্ডার, রান্নার প্রতিযোগিতা, হাশো—সবকিছুই আমরা যা করেছি আপনাদের ভালোবাসায়, সহযোগিতায়। প্রতিটি অনুষ্ঠানই দেশে-বিদেশে আমরা সুনামের সঙ্গে করতে পেরেছি। আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের পরামর্শ, সহযোগিতা অব্যাহত যদি থাকে, ইনশাআল্লাহ আপনাদের এ প্রিয় চ্যানেল আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী চালানোর চেষ্টা করব।’
এনটিভির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমাদের দুটি দুর্যোগ ছিল। দুবার এ ভবনে আগুন লেগেছে। তার পরও আমাদের সম্মানিত দর্শক এবং তাঁদের দোয়া ও ভালোবাসায়, বিশেষ করে আমাদের এনটিভির পরিবার রাত-দিন পরিশ্রম করে আপনাদের টেলিভিশন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এনটিভির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাংবাদিক, কলাকুশলীসহ বিজ্ঞাপনদাতা ও দর্শককে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছর এনটিভি যেভাবে আমাদের সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করেছে, সংবাদ চাহিদা পূরণ করেছে, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চাহিদা পূরণ করেছে, সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে আমি বলতে চাই, ১২ বছর কোনো গণমাধ্যমের জন্য দীর্ঘ সময় নয়। আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে এনটিভি তাঁর যে দায়িত্ব, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণ করা, তাঁদেরকে সারা পৃথিবীর সংবাদ সম্পর্কে অবহিত রাখা; পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করবে—সে প্রত্যাশা করি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বিএনপি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এনটিভিকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এনটিভি আমার প্রিয় চ্যানেল। ১২ বছর অল্প সময় নয়। আবার খুব বেশি সময়ও না। কিন্তু এ সময়টায় এনটিভি তাঁর মর্যাদা বাড়ানোর জন্য কাজ করেছে। বাংলাদেশের টিভিজগৎকে উন্নত করার জন্য কাজ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যে দেশটা আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি, সে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, যে গণতন্ত্র আমরা রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি, সেই গণতন্ত্র এবং যে গণমানুষের জন্য আমরা দেশটাকে স্বাধীন করেছি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি, সেই গণমানুষের কল্যাণের জন্য এনটিভি আরো সাহসিকতা নিয়ে কাজ করবে। কারণ, এনটিভি এখন যুগোত্তীর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আরো বহু যুগ, বহু শতাব্দী এনটিভি পার করবে তার মর্যাদা নিয়ে।’
অনুষ্ঠানে দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘১২টি বছর সুখ-দুঃখের মধ্য দিয়ে এনটিভিকে যেতে হয়েছে। আমরা এমন এক পেশায় আছি, যেখানে মধুচন্দ্রিমা বলে কিছু থাকে না। ১২ বছর পরে এনটিভি এখন একটা প্রতিযোগিতার মধ্যেই আছে। অনেক অনেক চ্যানেল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, শুরু থেকে এনটিভি একটি স্বাতন্ত্র্য ছিল তার পরিকল্পনায় সংবাদ এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে। এনটিভি সেটি বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। এনটিভি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকুক এবং তার স্বাতন্ত্র্য নিয়েই বেঁচে থাকুক।’
অনুষ্ঠানে নিউজ টুডের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যুগপূর্তিতে আমি মনে করি, এনটিভি যুগোপযোগী হয়ে উঠছে। এনটিভি আমার প্রিয় চ্যানেল। আমি এখানে টক শোতে অংশ নিই। দেশে-বিদেশে এ চ্যানেলের প্রশংসা শুনি। এনটিভির সংবাদের যে বস্তুনিষ্ঠতা এবং নির্মল আনন্দদান, এটা কিন্তু প্রশংসা করতেই হয়। এটা ধরে রাখতে হবে। সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘এনটিভির পর্দায় এবং পর্দার বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এবং বৈশাখী টিভির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। এনটিভি নানা দুর্যোগ ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা জানি মোসাদ্দেক আলীর নেতৃত্বে সকল সংকট তাঁরা মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে। একটা অসাধারণ বিষয় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, এনটিভির পর্দায় একটি স্থির ধারাবাহিকতা প্রত্যক্ষ করেছি। সেখানে এ দুর্যোগ-দুর্বিপাকের কোনো ছায়া আমরা দেখিনি। এর প্রধান কৃতিত্ব মোসাদ্দেক আলীর নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের।’ তিনি আরো বলেন, ‘একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২ বছর খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু এই ১২ বছরে এনটিভি কয়েকটি জায়গায় নিজেদের অবস্থান বেশ সুদৃঢ় করেছে।’
চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এনটিভি আমার প্রিয় টিভি। আমি ১২টি বছর এনটিভিসহ বিভিন্ন টিভি লক্ষ করছি। এনটিভির প্রতিটি অনুষ্ঠানের পেছনে একজন অভিভাবক থাকেন। টক শো হোক, নাটক হোক, সংগীতের অনুষ্ঠান হোক—সবকিছুর পেছনে একজন অভিভাবক আছে। যেন গুণগত মান বজায় থাকে। এনটিভির কর্মীরা সবাই মিলে ১২ বছর ধরে কাজটি করছে।’
অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘এনটিভির চেহারা আমার কাছে সব সময় হাস্যোজ্জ্বল মনে হয়। ঝকঝকে, তকতকে সদা হাস্যোজ্জ্বল। যেমনটি প্রতিষ্ঠানের পেছনের প্রধান মানুষটি। এনটিভির প্রতিটি অনুষ্ঠান—সেটি টক শো হোক, সংবাদ বা নাটক যেটাই হোক না কেন—এক ধরনের বিনয় প্রকাশ থাকে, সৌম্য, শান্ত-স্থির। জন্মদিনে আমি আশা করব, এ রকমই যেন থাকে এনটিভি আজীবন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখনো আমার কোনো নাটক যদি এনটিভিতে প্রচারিত হয়, আমি অহংবোধ করি।’
অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু বলেন, ‘এনটিভি যখন শুরু হয়েছে, তখন থেকে এখন পর্যন্ত এনটিভির সঙ্গেই আছি। যখন একটি নাটকের শুটিং করি, তা যদি এনটিভিতে যায়, তখন নাটকটির পরিচালক বা অন্যান্য সবার মধ্যে সতর্কতা কাজ করে, সচেতনতা কাজ করে। এনটিভির নাটকে বার্তা থাকে। এনটিভি নাটকে নেতিবাচক কিছু দেখাতে চায় না।’
নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমার নাটক গিয়েছে। আজ এক যুগপূর্তি। এখনো আমার নির্মাণের নাটক যাবে, যা আমার কাছে গর্বের। এনটিভি বেঁচে থাকবে হাজার বছর।’
এনটিভির এই বিশেষ মুহূর্তে দেশের বিশিষ্টজন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ এনটিভি পরিবারের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০৩ সালের ৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম অটোমেশনভিত্তিক যুগোপযোগী বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি)।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেলটিতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিশেষ নাটক, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দর্শকও টেলিভিশনের পর্দায় উপভোগ করতে পারবেন এনটিভির ১৩তম বছরে পা দেওয়ার বিশেষ মুহূর্তটি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে এনটিভি একঝাঁক তরুণ নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে কোটি দর্শকের কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মানসম্মত অনুষ্ঠান তুলে ধরছে। আদর্শ, নীতি, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে এখানে প্রচার করা হয় সংবাদ ও অনুষ্ঠান। দেশজ সংস্কৃতিকে উপস্থাপনে প্রত্যয়ী এনটিভি। এ ছাড়া নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এনটিভির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এনটিভি পক্ষপাতহীন সংবাদও অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী।
শুধু সংবাদ নয়, সমসাময়িক ঘটনা, আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র, খেলাধুলার খবর, ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খবর এনটিভি সম্প্রচার করে আসছে। এনটিভি প্রতিদিন ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নির্মিত এনটিভির নাটক, টেলিফিল্ম, সংগীতানুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কেরাত প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, কুইজ ও ভ্রমণবিষয়ক শো ব্যাপক জনপ্রিয়। ঈদ উৎসব, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো বছরের বিশেষ দিনে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে এনটিভি।
এসবের পাশাপাশি যখনই ঘটনা, তখনই তা পাঠক-দর্শকের কাছে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে এনটিভি অনলাইন। অনলাইনের মাধ্যমে খবর পৌঁছে যাচ্ছে পাঠকের কাছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনে। এনটিভি অনলাইনে ভিডিও, ছবি দেখা যাচ্ছে।
এ ছাড়া সেবামূলক কার্যক্রমে রয়েছে এনটিভির অনন্য দৃষ্টান্ত। চ্যারিটি ফান্ডের মাধ্যমে এনটিভি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে। তা ছাড়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনে অংশ নেয় চ্যানেলটি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নির্মাণ করে স্কুল। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এনটিভি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রথম টিভি চ্যানেল হিসেবে ‘আইএসও ৯০০১:২০০৮’ সনদ লাভ করে। এরই মধ্যে এনটিভি পেয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে বহু পুরস্কার।
তরুণ প্রজন্ম, আগামীর পৃথিবীর জন্য একটি বস্তুনিষ্ঠ, উন্নয়নকামী গণমাধ্যম গড়ে তুলছে এনটিভি। নীতির প্রশ্নে সব সময়ই আপসহীন এই গণমাধ্যম। সত্যনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন ও বস্তুনিষ্ঠ বিনোদন দেওয়াই চ্যানেলটি লক্ষ্য। সময়, ইতিহাসকে সাক্ষী করে এগিয়ে যেতে চায় এনটিভি। তাই এনটিভি দেশ ও জনগণের টেলিভিশন।
এনটিভি আপনার টেলিভিশন। আপনার সহযোগিতা, মতামত নিয়ে এনটিভি এগিয়ে যেতে চায় বহুদূর। এনটিভির ভাষায়, ‘বিশ্বজুড়ে দর্শকের সন্তুষ্টি বিধানে আমরা নিবেদিত, তাঁদের প্রত্যাশার প্রতি আমরা সংবেদী।’