ঈদবাজার
ব্যস্ত মিরপুরের শাহ আলী প্লাজা
ঈদের কেনাকাটায় এখন ব্যস্ত ঢাকার সব মার্কেট ও এর বিপণিবিতানগুলো। দিনে যাঁরা সময় পাচ্ছেন না, তাঁরা ইফতার করেই বেরিয়ে পড়ছেন কেনাকাটায়। সন্ধ্যার পর রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর যেন পরিণত হয় উৎসব পল্লীতে।
কারণ, এখানে গড়ে উঠেছে ফ্যাশন পল্লী, যার কেন্দ্রে রয়েছে শাহ আলী প্লাজা। এই মার্কেটটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক বুটিক হাউস। তাই রাজধানীর এই মার্কেটটিতে সকাল থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিড় জমান মানুষ।
উৎসবের আমেজে চলে কেনাকাটা। বাহারি নাম ও ডিজাইনের দেশি-বিদেশি পোশাকের সমারোহে নিজের পছন্দের পোশাকটি বেছে নিতে ক্রেতার ঢল নামে। তবে তাঁদের অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম আগেরবারের তুলনায় বেশি।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ভারতীয়, পাকিস্তানি পোশাকের সঙ্গে এবার প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় বুটিকের কাজ করা পোশাকও। আর দামের ব্যাপারে ক্রেতার সঙ্গে কেউ কেউ একমত হলেও এ নিয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে বিক্রেতার।
তবে যা-ই হোক, ঈদের পোশাক তো কিনতেই হবে। সাততলা ভবনটির পঞ্চমতলা পর্যন্ত মার্কেট। তবে এই মার্কেটে ভিড় দুটি তলাতেই। প্রথমতলায় রয়েছে পোশাকের বিশাল সম্ভার। ছেলেমেয়ে সবার পোশাকই মিলবে এখানে।
তবে মেয়েদের পোশাক ও শাড়ির দোকানই বেশি। পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের পোশাকের সম্ভার। এখানে আপনি পাবেন দেশি, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানিসহ সব ধরনের শাড়ি। আর মেয়েদের পোশাকে রয়েছে থ্রিপিস, ফোরপিস, লন, তাগা ছাড়াও অনেক ধরনের পোশাক।
এককথায় বলতে গেলে তৈরি পোশাক, থান কাপড়ের জন্যই বিখ্যাত এই মার্কেট। এ ছাড়া রয়েছে বাটার বিশাল শোরুম। মার্কেটের দুটি ফ্লোর জুড়ে রয়েছে বাটার বিশাল সম্ভার। সব ধরনের সবার জন্য জুতা পাবেন এখানে। মার্কেটটির আরেক পাশ জুড়ে রয়েছে জুতার আরো অনেক দোকান। একদাম লেখা থাকলেও দামাদামির সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া ছেলেদের পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে অ্যাকসেসরিজ। ছেলেদের জন্য বেল্ট, মানিব্যাগ পাবেন এখানে। দ্বিতীয় তলাটিও সাজানো হয়েছে মেয়েদের পোশাক দিয়ে। এখানে মিলবে কসমেটিকস, জুয়েলারি ছাড়াও মেয়েদের সাজের অনেক অনুষঙ্গ।
এর পরের ফ্লোরগুলোতে মোবাইল ও মোবাইলের অ্যাকসেসরিজ পাবেন। ঈদের কেনাকাটায় মিরপুরের বাসিন্দারা তো বটেই, অন্যরাও ঢুঁ মারেন বিশাল এই মার্কেটটিতে।