জামিনে মুক্ত ফখরুল
প্রায় সাড়ে ছয় মাস কারাভোগের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তিনি মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চান। আর শিগগির তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথাও জানান সাংবাদিকদের।
অসুস্থতার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায়, জামিন এবং মুক্তি ত্বরান্বিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত অসুস্থ। গত ছয় মাসে আমার প্রায় ১২ কেজি ওজন কমেছে। আমার অ্যার্টারির ব্লকের সমস্যা আরো বেড়ে গেছে। আমার আইবিএসের সমস্যা বেড়েছে।’
গত ছয় জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা সাতটি মামলার মধ্যে সর্বশেষ গতকাল সোমবার পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া মির্জা ফখরুলের ছয় সপ্তাহের জামিন বহাল রাখেন। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে পল্টন ও মতিঝিলসহ কয়েকটি থানায় নাশকতার মোট সাতটি মামলা হয়। এর পর একে একে সব মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এবং আপিল বিভাগও তা বহাল রাখেন।
কিন্তু ২১ জুন পল্টন থানার তিন মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। গতকাল সোমবার সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাঁর জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রায়ে মির্জা ফখরুলকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।