টেস্টের সাফল্যকেই এগিয়ে রাখছেন মুস্তাফিজ
ওয়ানডে অভিষেকে তাঁর দারুণ সাফল্য। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখা মুস্তাফিজুর রহমান টেস্ট ক্রিকেটেও আবির্ভাবেই উজ্জ্বল। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ২৪৮ রানে গুটিয়ে দিতে এই বাঁ-হাতি পেসারের বিশাল ভূমিকা। মাত্র ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই বাংলাদেশের সেরা বোলার। টেস্ট অভিষেকে এমন দুর্দান্ত পারফরফরম্যান্সকেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখছেন মুস্তাফিজ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে অভিষেকের পারফরম্যান্সকে কোনো ভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না। তবে আমার দৃষ্টিতে আজকের পারফরম্যান্সই এগিয়ে। কারণ টেস্টে উইকেট পাওয়া তূলনামূলক কঠিন। টেস্টে ব্যাটসম্যানদের রান নেওয়ার তাড়া কম থাকে।urgentPhoto
দিনের সবচেয়ে চমকজাগানো ওভারটির জন্ম চা-বিরতির ঠিক পরে। দিনের ৬০তম ও মুস্তাফিজের ব্যক্তিগত চতুর্দশ ওভারের প্রথম বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান হাশিম আমলা। দারুণ এক অফকাটারে তিনি পরাস্ত করেন প্রোটিয়া অধিনায়ককে। পরের বলে জেপি ডুমিনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন। হ্যাটট্রিক না হলেও সেই ওভারের চতুর্থ বলে কুইন্টন ডি ককের অফস্টাম্প উড়িয়ে দেন বাংলাদেশের নতুন গতি-তারকা।
এরপর টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে চতুর্থ সাফল্যে মেতে ওঠার পাশাপাশি গুটিয়ে দেন অতিথিদের প্রথম ইনিংস।
এই চারটির মধ্যে মুস্তাফিজ সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত আমলার উইকেটটি নিয়ে, ‘দিনের শুরু থেকে তেমন ভালো করতে পারছিলাম না। আমলার উইকেটটি নিয়ে আরো ভালো বল করতে অনুপ্রাণিত হই। তাই প্রোটিয়া অধিনায়কের উইকেট নিয়েই সবচেয়ে ভালো লেগেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, ওয়ানডেতে ভারতের রোহিত শর্মা আর টেস্টে আমলা মুস্তাফিজের প্রথম শিকার। এই তিন ‘প্রথম’-এর মধ্যে অবশ্য তাঁর কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই, ‘তিনটি উইকেটই আমার প্রিয়। কোনোটাকেই আলাদা করে দেখছি না।’