দুই অর্ধশতকের পর বৃষ্টির যন্ত্রণা
৯ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতক স্বাগতিক দলে স্বস্তি ফিরিয়েছিল। কিন্তু অর্ধশতকের পর দুজনের কেউই খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। বেলা সোয়া ৩টার দিকে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর বৃষ্টি নেমে খেলা বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর খেলা শুরু হলেও এক বল খেলার পর আবার বৃষ্টি। এরপর আর খেলা হতে পারেনি। ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৬৯ রানে পিছিয়ে আছে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ১৬ ও সাকিব আল হাসান ১ রানে অপরাজিত।
ঘরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অর্ধশতক করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম। মাত্র তিনটি চারসহ ৫৭ রান করে বাঁ-হাতি স্পিনার ডিন এলগারকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়া তামিমের চট্টগ্রামে এটা পঞ্চম ও সব মিলিয়ে ১৮তম অর্ধশতক।
দ্বাদশ অর্ধশতকের দেখা পাওয়া মাহমুদউল্লাহ খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। কিন্তু ভার্নন ফিল্যান্ডারারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। মাহমুদউল্লাহর ৬৭ রানের ইনিংসটা সাজানো ১০টি চারে।
দিনের শুরুতে তামিম আক্রমণাত্মক থাকলেও ইমরুল কায়েস ছিলেন বেশ ধীরস্থির। বাংলাদেশের দুই ওপেনার প্রোটিয়াদের তিন গতিতারকা স্টেইন-ফিল্যান্ডার-মরকেলকে ভালোই সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে ভুল করলেন ইমরুল। মিডিয়াম পেসার স্টিয়ান ভ্যান জিলের লেগস্টাম্পের বাইরের বল ফ্লিক করতে গিয়ে ক্রিজের একটু বাইরে চলে এসেছিলেন তিনি। কুইন্টন ডি ককের ত্বরিত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ৭৩ বল খেলা ইমরুলের অবদান ২৬ রান।
দলীয় সংগ্রহে ৯ রান যোগ হওয়ার পর বিশাল ধাক্কা। টানা ১১ টেস্টে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলে ক্যারিবীয়-কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের পাশে দাঁড়ানো মুমিনুল হক বোল্ড। সাইমন হার্মারের অফব্রেকে অফস্টাম্প এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় মাত্র ৬ রানের হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছে মুমিনুলকে।
প্রথম দিন মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস মাত্র ২৪৮ রানে শেষ হয়ে গেছে। ওয়ানডের মতো টেস্ট অভিষেকেও আলো ছড়িয়ে ৩৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন প্রতিভাবান বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজ। এর মধ্যে তিন উইকেট ছিল এক ওভারে। ৫৩ রান খরচ করে লেগস্পিনার জুবায়েরের শিকার তিনটি উইকেট।