ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে গিয়ে হুমকি, ইবির ফটকে তালা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে প্রায় ৫৪ মিনিট ক্যাম্পাসের ফটক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।
ক্যাম্পাস ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালনের মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমড়া গ্রামের বাড়িতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোর্য়াদ্দার ও তার সাত-আটজন সহযোগী। এ সময় তারা লালনের পরিবারকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ছাত্রলীগ নেতা লালনের অভিযোগ, “তারা আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। বাড়ির লোকজনকে বলেছে, ‘ইবির ভিসি ও সাবেক প্রক্টরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে লালন। তাদের ক্ষমতা কত লালন কি তা জানে?’ এ সময় আমার পরিবারের লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে তারা বলে, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে সে (লালন) মার্ডার হয়ে যাবে।’”
এ ঘটনার পরে লালনের বাড়ির লোকজন থানায় খবর দিলে পালিয়ে যায় ইলিয়াস ও তাঁর সহযোগীরা। পথে মিরপুরের আমলা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ইলিয়াস জোর্য়াদ্দারসহ চারজনকে আটক করে।
আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন ক্যাম্পাসের পাশের শেখপাড়া বাজারের উজ্জ্বল জোয়ার্দ্দার এবং মেহেরপুরের গাংনীর বেদবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ ও ওবায়দুল হক।
এ খবর পেয়ে রাতেই ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপ। পরে আজ শনিবার দুপুরে ফের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে ফটক অবরোধ করে বিদ্রোহীরা। এতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবহনকারী দুপুর ২টার গাড়িটি ভেতরে আটকা পড়ে। ৫৪ মিনিট অবরোধের পর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারসহ চারজনকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আজকে তাদের মেহেরপুরের গাংনী থানায় পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে এমন কোনো নথি (অফিসিয়াল ডুকমেন্ট) পেলে কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে।’