৭৮ রানের লিড বাংলাদেশের
গত মাসে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে আউট হয়েছিলেন ৪৪ রান করে। চট্টগ্রামে জীবনের দ্বিতীয় টেস্টেই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন লিটন দাস। তবে অর্ধশতক করেই আউট হয়ে গেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ৫০ রান করে সাইমন হার্মারের অফব্রেকে বিভ্রান্ত হয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে গেছেন তিনি। লিটনের বিদায়ের পর তেমন এগোতে পারেনি বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৩২৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া স্বাগতিক দল ৭৮ রানের লিড নিয়েছে।
অর্ধশতক পেতে পারতেন সাকিব আল হাসানও। কিন্তু হার্মারকে অযথা তুলে মারতে গিয়ে জেপি ডুমিনির সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৪৭ রান করা সাকিবের আক্ষেপভরা ইনিংসে চারটি চার। সাকিব-লিটনের ষষ্ঠ উইকেট জুটির অবদান ৮২ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে গ্যালারি উন্মাতাল করে তুলেছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। হার্মারের এক ওভারে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভার্নন ফিল্যান্ডারকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন স্টিয়ান ভ্যান জিলকে। মাত্র ১৯ বলে ২৫ রান করেছেন শহীদ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের ষষ্ঠ ওভারেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম।
আগের দিন বৃষ্টিতে প্রায় ২৫ ওভার খেলা হতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার খেলা শুরু হয়েছে যথাসময়ে। ৪ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কা দেন ডেল স্টেইন। টেস্ট র্যাংকিংয়ের এক নম্বর বোলারের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন মুশফিক। প্রোটিয়াদের সমস্বরে এলবিডব্লিউর আবেদনে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। তবে অধিনায়ক হাশিম আমলা রিভিউ নিলে সাফল্যের আনন্দে মেতে ওঠে অতিথিরা। ৬১ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ রান করেছেন মুশফিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার লিড নিল বাংলাদেশ। আগের ‘কীর্তি’টা ছিল ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মিরপুরে। সেই টেস্টে অবশ্য প্রোটিয়ারা ৫ উইকেটে জিতেছিল।