রাজন হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার আরেক আসামি আয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আয়াজ আলীর বাড়ি সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ায়। এ নিয়ে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তার ১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে।
মামলার তদন্তকর্মকর্তা পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার জানিয়েছেন,রাজন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ময়না মিয়া আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবাববন্দিতে তিনি বলেছেন, ঘটনার দিন সকালে রাজনকে আটক করে বাঁধার সময় আয়াজ আলী তাঁকে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়া থেকে আয়াজকে আটক করা হয়। তাঁকে বিকেলে আদালতে তোলা হবে।
এদিকে রাজন হত্যাকাণ্ডে মামলা নেওয়া এবং অন্যতম আসামি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করার প্রমাণ পাওয়ায় তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে তাঁদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণসহ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদক ও বিভাগীয় মামলার সুপারিশ আজ পুলিশ সদর দপ্তর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির টুকের বাজারে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে শিশু রাজনকে হত্যা করা হয়। ওই দিন দুপুরে লাশ গুম করতে গেলে মুহিত হাসানসহ আরেকজনকে এলাকাবাসী আটক করে। নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।