রাজন হত্যায় আয়াজ আলী হেফাজতে
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আয়াজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট মহানগর হাকিমের প্রথম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম এ আদেশ মঞ্জুর করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউটর) আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের জানান, রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার আয়াজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের হেফাজতের আবেদন করেন। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ শনিবার ভোরে আয়াজ আলীকে সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়া থেকে আটক করা হয়। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, রাজন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ময়না মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার দিন সকালে রাজনকে আটক করে বাঁধার সময় আয়াজ আলী তাঁকে সহায়তা করেছিলেন। এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে শনিবার ভোর রাতে কুমারপাড়ার শেখপাড়া থেকে আয়াজকে আটক করা হয়।
এদিকে রাজন হত্যা মামলায় অবহেলার অভিযোগে পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেনকে জালালাবাদ থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ১২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।