‘রাজন চোর ছিল না’
‘শিশু রাজন চোর ছিল না, চৌকিদার ময়না চোর সাজিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।’ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছেন তিন দিনের রিমান্ডে থাকা আসামি আয়াজ আলী।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম ১-এর বিচারক সাহেদুল করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় আয়াজ আলীর এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে বিচারক তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, আয়াজ আলী আদালতে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে বলেছেন, রাজন চোর ছিল না। কুমারগাঁওয়ে যেখানে রাজনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়, সেখানে একটি গ্যারেজে রাখা ভ্যান নিয়ে আরো কয়েকটি শিশুর সাথে খেলছিল রাজন। গ্যারেজের চৌকিদার ময়না রাজনকে ধরে চোর সাজায়। পরে সে রাজনকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বাঁধে। এ সময় আয়াজ ‘খেলার ছলে’ রাজনকে বাঁধতে সাহায্য করেন বলে আদালতে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
সুরঞ্জিত তালুকদার আরো জানান, আদালতে আয়াজ নিজে রাজনকে মারধর করেননি; তবে ময়না, কামরুলসহ অন্যরা মারধর করেছে বলে জানিয়েছেন।
গত শনিবার ভোরে আয়াজ আলীকে সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন বিকেলে তিন দিনের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। আয়াজ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা।
তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত জানান, রাজন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ময়না মিয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে আয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় উঠে আসে।