আমান কারাগারে, আনোয়ার জামিনে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে নাশকতার ৭১টি মামলার মধ্যে ৫৬টি মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে সাতটি মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর ও আটটি মামলার নথি না থাকায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার সাতটি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলায় নথি না থাকায় শুনানি হয়নি।
অপর নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর একটি মামলায় নথি না থাকায়ও জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
আজ রোববার রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া মোট ৭৯টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম, মুখ্য বিচারিক হাকিম ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিন নেতাদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নাল আবেদিন মেজবা জামিনের আবেদন করেন।
এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, মিরপুর ও মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে ৭১টি মামলায় আমান, সাতটি মামলায় এম কে আনোয়ার ও একটি মামলায় মিন্টুর পক্ষে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
পরবর্তী সময়ে বিকেলে ১২টি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমানের ৬৫টি মামলায়, এম কে আনোয়ারের সাতটি মামলায় ও মিন্টুর একটি মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আমানের বাকি ছয়টি মামলার জামিনের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
তাঁদের পক্ষে আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা নাশকতার ১০ মামলায় এম কে আনোয়ার, ৭০ মামলায় আমানউল্লাহ আমান এবং আবদুল আউয়াল মিন্টু একটি মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।