তারকাখচিত বিপাশার প্রদর্শনী
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে উদ্বোধন করা হয় চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াতের ‘রেল্মস অব মেমোরি’ শীর্ষক তিন সপ্তাহব্যাপী একক চিত্রকর্মী প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন কোরিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়াং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম। প্রদর্শনীটি আগামী ২৯ আগস্ট ২০১৫ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রদর্শনীতে তাঁর একক ২৮টি চিত্রকর্ম এবং আটটি ড্রয়িং প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনীর ছবিগুলোর দাম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা রাখা হয়েছে।
বিপাশা হায়াত বলেন, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ। সবার ভালোবাসা ও উপস্থিতি দেখে আমি বাকরুদ্ধ।’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাবা অভিনেতা আবুল হায়াত, মা শিরিন হায়াত, বোন নাতাশা হায়াত, স্বামী ও অভিনেতা তৌকীর আহমেদ, বিবি রাসেল, ত্রপা মজুমদার, মীর সাব্বির, বরেণ্য অভিনেতা আফজাল হোসেন, চিত্রশিল্পী বীরেন সোম প্রমুখ। তাঁরা বিপাশা হায়াতের চিত্রকর্ম দেখে এনটিভি অনলাইনকে জানান তাঁদের প্রতিক্রিয়া।
শিরিন হায়াত
আমি একটা সময় রাজি হইনি বিপাশা চারুকলায় পড়ুক। কিন্তু এখন বিপাশার চিত্রকর্ম দেখে আমি মুগ্ধ। এখন আমি চাই বিপাশা এ সবই করুক। ছোটবেলা থেকে দেখেছি বিপাশার এসবের প্রতি বেশি ঝোঁক। সাজগোজ, পোশাক-গয়নার প্রতি কোনো দিন বিপাশার আকর্ষণ ছিল না।
আবুল হায়াত
আজকে বিপাশার প্রদর্শনীতে এসে অনেক ভালো লাগছে। ভালো লাগার অনুভূতি শেয়ার করার ভাষা আমার জানা নেই। বিপাশা ভালো করছে। আগামীতে ও আরো ভালো করবে বলে আমার বিশ্বাস। ও অনেকদূর এগিয়ে যাক- এই দোয়া সব সময় করি।
নাতাশা হায়াত
আমি ছবি খুব ভালো বুঝি না। তবে আপুর ছবির মধ্যে আলাদা একটা ম্যাজিক আছে যা আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। প্রদর্শনীর সব ছবি আমি দেখেছি। অনেক ভালো লেগেছে আমার।
তৌকীর আহমেদ
ছবির শুটিংয়ের জন্য আমি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম। পরশু দিন আমি ঢাকায় ফিরেছি। আজ আমার খুব আনন্দ লাগছে। বিপাশার বইয়ের প্রথম পাঠক আমি আবার ওর ছবিরও প্রথম দর্শক আমি। ভালোলাগা ও সমালোচনা সবার আগে ও আমার কাছ থেকে শুনতে পায়। আমি সব সময় ওর প্রশংসা করি। প্রদর্শনীর সাদা-কালো ক্যানভাসের বড় ছবিটি আমার অনেক পছন্দ।
বীরেন সোম
বিপাশা দিন দিন ভালো ছবি আঁকছে। এই ছবিগুলোও ভালো হয়েছে।
আফজাল হোসেন
বিপাশার ছবির প্রদর্শনী এর আগেও আমি দেখেছি। আজও দেখলাম। বিপাশা ভালো ছবি আঁকে। আমি ওর সব সময় সাফল্য কামনা করি।
বিবি রাসেল
বিপাশার ছবির প্রদর্শনীতে এসে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। ওর সব ছবি আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি। এককথায় ওর ছবিগুলো দারুণ।
ত্রপা মজুমদার
বিপাশার ছবি যখন দেখি তখন মনে হয় ছবিগুলো আমার মনের কথা বলছে। মুগ্ধ হয়ে দেখি ওর আঁকা ছবিগুলো।
মীর সাব্বির
বিপাশা এমন একজন যাঁকে দেখে এ প্রজন্মের মেয়েরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। তাঁর লেখা, আঁকা, অভিনয়, গান সবকিছুর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য।
লি ইউন ইয়াং (দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত)
বিপাশার ছবি অসাধারণ। মানুষ হিসেবেও তিনি চমৎকার। তাঁর চিন্তা-চেতনা অনেক উন্নত। তাঁর সঙ্গে গল্প করতেও অনেক ভালো লাগে। বিপাশার ছবি প্রদশর্নীতে আজ অনেক মানুষ এসেছে। বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জকে অনেক রঙিন লাগছে। চিত্রশিল্প আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। আমি বেঙ্গল আর্ট লাউঞ্জে কোনো প্রদর্শনী হলে দেখতে আসি। নানা রঙের চিত্রকর্ম দেখে রোমাঞ্চিত হই। বাংলাদেশের মাহমুদুল হককে খুব ভালো ভাবে আমি চিনি। তাঁর চিত্রকর্ম আমি দেখেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে তাঁর কাজ।