জনকণ্ঠ সম্পাদকের শাস্তি চান অ্যাটর্নি জেনারেল
জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ সোমবার জনকণ্ঠের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা রুলের শুনানি শেষে নিজ কার্যালয়ে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতের বিষয় নিয়ে কেউ লিখতে গেল, তখন সতর্কভাবে লিখতে হয়। কেননা, বিচার বিভাগে কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকে না। জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে যেসব কথা লেখা হয়েছে, তা আদালত অবমাননার শামিল এবং বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
মাহবুবে আলম বলেন, আদালতে না গিয়ে চুরি করা কোনো রেকর্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাটা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এক প্রকার অপরাধ।
যে বিচারপতির কাছে তাঁরা এ রেকর্ড নিয়েছেন, সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে এখনো যিনি দায়িত্বে আছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
এদিকে, জনকণ্ঠের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন বলেন, ‘যেহেতু আমরা সত্য প্রকাশ করেছি, এটা কোনো আদালত অবমাননার শামিল নয়। আমরা প্রধান বিচারপতির কথোপকথনের অডিও আদালতে পেশ করেছি এবং তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। একজন বিচারপতিরও এ বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু প্রধান বিচারপতি যেহেতু কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন, সেহেতু সাক্ষীর প্রয়োজন হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে আমরা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করিনি। সত্য বিষয়টাই প্রকাশ করেছি। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব।’