বিচারাধীন বিষয়ে সতর্ক হয়ে লেখার পরামর্শ অ্যাটর্নি জেনারেলের
আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সতর্ক হয়ে লেখার পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ বৃহস্পতিবার জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আদলত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর সাংবাদিকদের তিনি এ পরামর্শ দেন।
নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। আদালত চলাকালীন, অর্থাৎ ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এজলাসের ভেতরে তাঁদের অবস্থান সাজা হিসেবে গণ্য হবে এবং উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ যেকোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দিতে বলা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালত অবমাননার অভিযোগে আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ছয় মাসের দণ্ড দিয়েছিল বলেই আতিকউল্লাহ খান মাসুদকে ছয় মাস কারাদণ্ড দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।’ তিনি বলেন, আদালত অবমাননা আইন, ১৮২৬ অনুযায়ী এ রায় দেওয়া হয়নি; বরং সাংবিধানিক নিজস্ব ক্ষমতাবলে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।’
আদালতে দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিকদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন দোলন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। বিচারাধীন বিষয়ে লেখা প্রকাশ করায় ২৩ জুলাই মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও স্বদেশ রায়কে তলব করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে জনকণ্ঠের এ দুই সাংবাদিককে কেন দণ্ড দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।