মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজের আরেক লড়াই
লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে এই তালিকায় থাকবেন, তা অনুমিতই ছিল। ফুটবলের দুই মহাতারকার সঙ্গে আছে লুইস সুয়ারেজের নামও। ২০১৪-১৫ মৌসুমে উয়েফা সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজ। আগামী ২৭ আগস্ট মোনাকোতে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়ের এই পুরস্কারের প্রবর্তন ২০১০-১১ মৌসুমে। প্রথমবার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন মেসি। পরের দুই মৌসুম আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফ্রাঙ্ক রিবেরি জিতে নেওয়ার পর গতবার রোনালদোর হাতে উঠেছিল এই পুরস্কার।
এবার অবশ্য মেসিই ‘ফেভারিট’। গত মৌসুমে বার্সেলোনার ‘ট্রেবল’ জয়ে আর্জেন্টাইন তারকার সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল। ৫৭ ম্যাচে ৫৮ গোল করেছিলেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। কোপা আমেরিকায়ও মেসির নেতৃত্বেই রানার্সআপ হয়েছে আর্জেন্টিনা।
বার্সা-সতীর্থ মেসির মতো এত গোল করতে পারেননি সুয়ারেজ। গত মৌসুমে ৪৩টি ম্যাচ খেলে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার ২৫ গোল করেছিলেন। তবে সংখ্যায় কম হলেও সুয়ারেজের বেশ কিছু গোল ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মার্চে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লা লিগায় এবং জুনে জুভেন্টাসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাঁর গোলেই জয়ের পথ সুগম হয়েছিল বার্সেলোনার।
রোনালদোর ২০১৪-১৫ মৌসুম কেটেছে অম্লমধুর অভিজ্ঞতায়। পর্তুগিজ তারকার দল রিয়াল মাদ্রিদ গতবার একটি শিরোপাও জিততে পারেনি। তবে গত দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারকে ব্যক্তিগতভাবে সফল বলতেই হবে। সব মিলিয়ে ৫৪ ম্যাচে ৬১ গোল করা রোনালদো লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন।
সেরা তিনের পেছনে থেকে জুভেন্টাসের গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন চতুর্থ, বার্সার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার পঞ্চম ও চেলসির ফরোয়ার্ড ইডেন হ্যাজার্ড ষষ্ঠ স্থানে আছেন ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায়।